ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তার সহযোগিতায় উজাড় হচ্ছে সেগুন গাছ

আবদুল করিম বিটু, চকরিয়া ::DSCF3981_00000

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের অন্তর্গত ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের আওতাধীন ডুলাহাজারা বন বিটের ভারপ্রাপ্ত বন বিট কর্মকর্তা ও চোরাকারবারীদের জোগসাজশে ধ্বংসের পথে ডুলাহাজার সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বন বিভাগের ডুলাহাজারার ভারপ্রাপ্ত বনবিট কর্মর্কতা জাগের আহম্মদকে  ম্যানেজ করেই প্রতিনিয়ত বন থেকে  মূল্যবান সেগুন গাছ কাটছে চিহ্নিত চোর সিন্ডিকেট। শুধু বন বিভাগ ও চোরাকারবারী নয় অবৈধ এ কাঠ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে সরকারি অন্যান্য দপ্তরও। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।

সচেতন মহলের নাগরিকরা বলছেন, ভারপ্রাপ্ত এই বন বিট কর্মকর্তা  টাকার বিনিময়ে চোরাকারবারীদের হাতে তুলে দিয়েছে বনাঞ্চাল।

সরেজমিনে দেখা যায়, বনটির শুরুর দিকে সবুজে ঘেরা চিত্র মুগ্ধ করে। কিন্তু একটু ভেতরের দিকে গেলেই দেখা যায়, বন উজাড়ের মহা উৎসব চলছে। হাজার হাজার গাছ কেটে নিয়েছে চোরাকারবারীরা। গত ০৮ মে দ্বিবা রাত্রে এ চিহ্নিত চোর সিন্ডিকেট আরেকটি লক্ষ টাকা দামের সেগুন গাছ কেটে পাঁচার করে দেয়।

অভিযোগটির তদন্তের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থ ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তার অফিস থেকে একটু উত্তর দিকে আরাকান রোডের লাগোয়া স্থানে গিয়ে দেখা যায় সেখানে সদ্য কাটা একটি গাছে মোথা। যেটি ছিল মানুষের একমাত্র ছায়াতে ঝিরানোর বা বসার গাছ। স্থানীয় লোকজন জানায়, অনেক বন কর্মকর্তা এই কর্তনকৃত গাছের নিচে বসে নাস্তা করেছেন। গরমকালে অনেক শ্রমিক কাজ করে আসার সময় গাছটির কাছে আসলে সে গাছটির নিচে বসে ক্লান্তি দূর করে তারপর বাসায় ফিরতেন। মোথা অনুসারে গাছটি প্রস্থ ৭৫ ইঞ্চি । যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। এই গাছটি কেটে ফেলার জন্য আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে  অত্র এলাকায়।

চোরাকারবারিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকলেও কিছু লোককে নির্ভয়ে গাছ কাটতে দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। এলাকা মানুষের জিজ্ঞাসাবাদে,  যারা গাছ কাটছেন তাদের কারও নাম প্রকাশ করেননি এলাকাবাসী। অনেক কৌশল অবলম্বনের এক পর্যায়ে তারা গুলিস্তান বাজার এলাকার মহিউদ্দীন নামে এক ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেন।

স্থানীয়দের সহায়তায় অনুসন্ধান করে সেই মহি উদ্দীনের দেখা পাওয়া যায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলাধীন হায়দারনাসীর ফুটেরঝিরি এলাকার বনের পাশেই।

বন উজাড় করা কাঠ কোথায় যায়, বিষয়টি অনুসন্ধান করে জানা গেল-ভ্যানে করে কাটা সেগুন গাছ ও গাছের লাকড়ি নিয়ে যায়। সেগুন গাছগুলো হায়দারনাসী গুলিস্তান বাজারের নিয়ে যায়। গুলিস্তান বাজারে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে তারাও মহি উদ্দীনের নাম বলেন। সচেতন মহল জানান, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে এসব দেখেও না দেখার ভান করে যাচ্ছে। তাই এলাকাবাসী বনাঞ্চল রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: