ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফে সেনাবাহিনীর হাতে ১৭ লাখ টাকাসহ ডিবির ৭ সদস্য আটক

db cox.jpনিউজ ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে এক ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাতজনকে নগদ ১৭ লাখ টাকাসহ আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল।

আজ বুধবার ভোরে ডিবির ওই সাত সদস্যকে আটক করা হয়। প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের সাবরাং ত্রাণকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মেজর নাজিম আহমেদ। তাঁর নেতৃত্বে ডিবির ওই দলটিকে আটক করা হয়।

অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম আবদুল গফুর। তিনি কম্বলের ব্যবসা করেন।

মেজর নাজিম আহমেদ বলেন, আবদুল গফুরকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অপহরণ করে ডিবির একটি দল। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তারা। কিন্তু দর-কষাকষির পর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। টাকা পাওয়ার পর তাঁকে ভোররাতে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এরপর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকার লম্বরী সেনাবাহিনীর তল্লাশিচৌকিতে ডিবির গাড়িটি সংকেত দিয়ে থামানো হয়। এ সময় মনিরুজ্জামান নামের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) পালিয়ে যান। সাতজনকে আটক করা হয়। গাড়ি থেকে মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ভোররাতেই তাঁদের সাবরাং সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।

মেজর নাজিম আহমেদ বলেন, ‘জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেনাবাহিনী ক্যাম্পে এসে আলোচনার মাধ্যমে আটক কর্মকর্তাদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমাদের জানান তাঁরা। তবে উদ্ধার করা টাকা আমাদের হাতেই রয়েছে।’

আবদুল গফুরের বড় ভাই টেকনাফ পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান ভোররাতেই প্রথম আলোর কাছে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইকে কক্সবাজার থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল অপহরণ করেছে। তাঁকে আটক করে আমাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হচ্ছে। আমরা টাকা দেওয়ার জন্য রাজিও হই। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়টি টেকনাফ সেনাবাহিনীকে অবহিত করেছি। পরে ভোররাত চারটার দিকে সেনাবাহিনীর লম্বরী ক্যাম্পের কিছু দূরে ১৭ লাখ টাকা দেওয়ার পর আমার ভাইকে ছেড়ে দেয় ডিবি পুলিশের দল। ডিবি পুলিশের দলটি কক্সবাজার ছাড়ার পথে সেনাবাহিনীর ওই ক্যাম্পে তাদের আটক করা হয়।’

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আটক করা ডিবি সদস্যদের জেলা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: