ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফে কবরস্থানের মাটি বিক্রি, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী!

টেকনাফ প্রতিনিধি :
টেকনাফে মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান সরকারী মালিকানাধীন কবরস্থানের মাটি বিক্রির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কবরস্থানের মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লী এবং স্বার্থন্বেষী পাহাড় খেকোদের সাথে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম রোজারঘোনা এলাকার টিলাযুক্ত প্রাচীণ বড় কবরস্থান কেটে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় আবুল কালাম,শাকের এবং ছৈয়দ উল্লাহর নেতৃত্বে টলি দিয়ে কবরস্থানের এই মাটি লোকজনের ভিটা-বাড়ী এবং পতিত জমি ভরাটে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয়দের বাঁধার মুখেও টাকার লোভে তারা টিলাযুক্ত প্রাচীণ কবরস্থানের মাটি দিবারাত্রি গাড়ী যোগে বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছেন। রোজারঘোনা মসজিদ এবং কবরস্থান রক্ষা কমিটির সভাপতি ছৈয়দ উল্লাহ মাটি কাটার বিষয়টি শতভাগ সত্য স্বীকার করে ইত্তেফাককে বলেন,আমাদের আপত্তিতেও এলাকার কিছু লোক বিক্রির উদ্দেশ্যে জোর পূর্বক টলি যোগে কবরস্থানের মাটি নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় মো: ইউসুফ,চকিদার হাসন আলী,ফরিদুল হকসহ শত শত মুসল্লী কবরস্থানের মাটি বিক্রির মত ঘৃণ্য বিষয়টিতে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন,মাটি নিয়ে যাচ্ছে তো যাচ্ছে তারা আমাদের বাপ দাদার কবর পর্যন্ত কুঁেড় নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন আরো জানায়,হ্নীলার মৌলভীবাজার,আলী আকবরপাড়া, মরিচ্যাঘোনা,রোজারঘোনা ছাড়াও ইউনিয়নের দরগা,রসুলাবাদ ও আশ্রয়কেন্দ্র এলাকায় পাহাড় কাটার রীতিমত মহোৎসব চলছে। স্থানীয় দু‘য়েকটি সিন্ডিকেট উল্লেখিত এলাকা থেকে পাহাড় কেটে টলি যোগে মাটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছে। কবরস্থান এবং পাহাড়ীয় মাটি বিক্রিতে টলিওয়ালা এবং কতিপয় লোক লাভবান হলেও তারা কিন্তু পরিবেশের ক্ষতি এবং গোরস্থানের বিষয়টি মোটেও চিন্তা করছেনা। এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে কবরস্থান কেটে মাটি বিক্রির মত ঘৃণ্য কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের দৃঢ় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ইউপি মেম্বার আব্দুল জাব্বার এবং বশির আহমদ পাহাড়ীয় কবরস্থানের মাটি কাটার বিষয়টি সত্য বলে জানায়। তবে কাকতালীয়ভাবে এই দুই ইউপি মেম্বার ইউনিয়নের প্রান্ত সীমানা হওয়ায় কবরস্থান কাটার ঘটনা অনেকটা কৌশলে এড়িয়ে যেতে চাচ্ছেন। জানতে চাইলে টেকনাফ সহকারী কমিশনার (ভূমি) তুষার আহমদ বলেন, আসলে বিষয়টি খুবই দু:খজনক। খতিয়ে দেখে তিনি এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

পাঠকের মতামত: