টেকনাফ সদর ও সাবরাং ইউনিয়নের কচুবনিয়া সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত। এই সড়কটি দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে বড় বড় গর্তে পরিনত হয়ে পড়ে আছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যানবাহন গুলো চলাচল করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ফলে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় অনেক দূর্ঘটনা ঘটছে। তার পাশাপাশি এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে দূর্ভোগে পড়ছে স্থানীয় জন সাধারণ ও স্কুল পড়–য়া শত শত ছাত্র-ছাত্রী।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, টেকনাফ পৌরসভার শাপলা চত্বর থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকারের শত শত যানবাহন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। যানবাহন গুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে টমটম, সিএনজি, মাইক্রোবাস, মালবাহী ট্রাক ও ড্রামপার। অথচ এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ক্ষত-বিক্ষত ও বড় বড় গর্তে রুপান্তরিত হয়ে বেহাল দশায় পড়ে আছে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলের দূর্ভোগ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। বর্তমানে এই সড়কটির কোথাও কার্পেটিং বলতে চিহ্ন নেই। এই সড়ক দিয়ে প্রায় ৮টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে, বেশির ভাগ মানুষ হচ্ছে গরীব, অসহায় কৃষক ও জেলে। এদের কাজ হচ্ছে প্রতিদিন তাদের নিজস্ব ফসলি জমি থেকে বিভিন্ন প্রকারের তরকারি, এবং পাশ^বর্তী সমুদ্র থেকে মাছ শিকার করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করা। কিন্তু এই রাস্তাটি খানা খন্দকে পরিনত হওয়ায় যাতায়াতে ও চলাফেরায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গাড়ী চালকরাও রোড এক্সিডেন্টের ভয়ে এই রাস্তা দিয়ে গাড়ী নিয়ে যেতে চাইনা। এর ফলে উক্ত এলাকার প্রায় ৪-৫ হাজার মানুষের চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। দীর্ঘ দিন ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বেহাল দশা ও উন্নয়ন সংস্কার না হওয়ায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। এব্যপারে স্থানীয়রা অভিমত ও দু:খ প্রকাশ করে বলেন, সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই সড়কটি উন্নয়ন করলেও স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি বছরের পর বছর ধরে তাদের নিজস্ব জমি থেকে মাঠি বিক্রি করে যাচ্ছে। এই মাঠি গুলো বিক্রি করার জন্য ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি ড্রামপার। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ড্রামপার গুলো মাঠি ভর্তি করে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। এতে বালিভর্তি যানবাহন গুলো কারনে এই সড়কটির উন্নয়ন অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ধ্বংশ হয়ে যায়। তাই আমাদের দাবি বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের এই সড়কটি নতুন ভাবে উন্নয়ন ও সংস্কার করা হোক। আর যারা নিজের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য ভারি যানবাহন ব্যবহার করে সড়কটি নষ্ট করে চলছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তারা আরো বলেন, স্থানীয় সাংসদ আলহাজ¦ আবদুর রহমান বদি একটু সু-দৃষ্টি দিলে এই সড়কটির উন্নয়ন খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
এব্যপারে টেকনাফ উপজেলা এলজিডি প্রকোশলী আবছার উদ্দিন জানান, এই সড়কটি নতুন ভাবে উন্নয়ন করার জন্য ৫৪ লক্ষ বাজেট দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে এই সড়কটির উন্নয়নের কাজ শুরু করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখা হবে।
পাঠকের মতামত: