প্রেস বিজ্ঞপ্তি: কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী লালদীঘি রক্ষায় তিন সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রসহ ৭ সরকারী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিকে আইনী নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি(বেলা)। নোটিশে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ঐতিহ্যবাহী এ দীঘিতে বহুতল ভবন নির্মাণ কক্সবাজারের ঐতিহ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ। এ ছাড়া দীঘির শ্রেণী পরিবর্তনের এরকম কার্যক্রম দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই লালদীঘির পশ্চিম দিকে বহুতল ভবণ করে মার্কেট নির্মাণকাজ বন্ধ করে তা বাতিলের পাশাপাশি দখলকৃত পাড় পুণরুদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ আগামী ১০ দিনের মধ্যে বেলাকে অবহিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যতায় নোটিশ গ্রহীতা ৬ সরকারী কর্মকর্তা ও কক্সবাজার পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে। সম্প্রতি ডাকযোগে আইনী এ নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ও বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওযানা হাসান।
নোটিশে বলা হয়েছে, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ঐতিহাসিক সৌন্দর্য ও উন্নত পরিবেশের মুর্ত প্রতীক কক্সবাজার শহরের লালদীঘি। প্রাচীন এ দীঘিটি স্থানীয় জনগণ দীর্ঘদিন থেকে তাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করে আসছে। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলার ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপনের কাজে ব্যবহার হয় এ দীঘির পানি। নগরবাসীর দৈনন্দিন চাহিদা মোটানো ছাড়াও দীঘিটি প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনায় অনেক তাৎপর্য ভূমিকা রাখে। বৃহত্তর জনস্বার্থ বিবেচনায় দীঘিটি পুণরুদ্ধার করে যথাযথ সংরক্ষণ না করা আইন বাস্তবায়নকারী/প্রয়োগকারী সংস্থা হিসাবে বিবাধীগণের ব্যর্থতার পরিচায়ক।
আইনী নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ও বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওযানা হাসান বলেন, ঐতিহ্যবাহী ও জনগুরুত্বপূর্ণ লালদীঘিতে বহুতল ভবন করে মার্কেট নির্মাণ কাজ দ্রুত বন্ধ না করলে স্থানীয় জনগণের স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বেলা আইনের আশ্রয় নেবে।
পাঠকের মতামত: