জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে কোন কূল-কিনারা করা সম্ভব হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সহ সংগঠনটির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা ওই পদ প্রত্যাশী। ফলে পদটি বণ্টনের দায়িত্ব কেন্দ্রের হাতে ছেড়ে দেয়া হলো।
চেয়ারম্যান পদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব না হলেও সদস্যদের একটি তালিকা প্রণয়ন করতে সম্ভব হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। গত কয়েকদিন ধরে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ, দীর্ঘ যাচাই-বাছাই এর পরই নেতাদের সম্মতির ভিত্তিতে এই তালিকা প্রণয়ন করা হলো। গতকাল ২৩ নভেম্বর সেই তালিকা ঢাকায় পাঠানো হয়।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সদস্যদের নির্দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছিল। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সেই পথ ধরে না হেঁটে সাংগঠনিকভাবে মনোনয়ন দানের সিদ্ধান্ত নেয়। এখন সেই সিদ্ধান্তও কেন্দ্রের উপর চাপিয়ে দিতে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। সংগঠনে বিশৃঙ্খলা রোধ করতেই এমন পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে বলেও দাবি করলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের এক সহ-সভাপতি। জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বললেন“ কেন্দ্রের কাছে সদস্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দানের জন্য নাম পাঠানো হলেও জেলা আওয়ামী লীগ প্রেরিত তালিকার কোন হেরফের হবে না।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গতকাল ২৩ নভেম্বর যাঁদের নাম আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন, ১ নং ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান টিটু, ২নং ওয়ার্ডে মাস্টার রুহুল আমিন, ৩নং ওয়ার্ডে আনোয়ার পাশা চৌধুরী, ৪ নং ওয়ার্ডে আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ৫ নং ওয়ার্ডে কমরুদ্দিন আহমদ, ৬ নং ওয়ার্ডে মো. তৈয়ব, ৭ নং ওয়ার্ডে ওয়ালিদ মিল্টন, ৮নং ওয়ার্ডে মঞ্জুর আলম, ৯নং ওয়ার্ডে মোকতার আহমদ, ১০নং ওয়ার্ডে উজ্জ্বল কর, ১১নং ওয়ার্ডে শামশুল আলম, ১২ নং ওয়ার্ডে নুরুল হক, ১৩নং ওয়ার্ডে পলক বড়–য়া আপ্পু, ১৪নং ওয়ার্ডে হুমায়ূন কবির মণ্টু, এবং ১৫ নং ওয়ার্ডে মো. শফিক মিয়া। এ ছাড়া পাঁচটি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের জন্য ফিরোজা আমজাদ, আশরাফ জাহান কাজল, পেকুয়ার সাদেকুর রহমান ওয়ারেচীর পুত্র ওয়াহিদের স্ত্রী, মাতারবাড়ীর এক আওয়ামী লীগ নেত্রী এবং হামিদা তাহের, আয়েশা সিরাজ, তাহমিনা চৌধুরী লুনা এবং শাহেনা আক্তার পাখির নাম কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
পাঠকের মতামত: