ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ১০ টাকার চাল বিতরণে চালবাজি কার্ড ইসু একজনের নামে, তুলছেন অন্যজন!

oniom_1এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে ১০টাকার চাল বিক্রিতে চালবাজির গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সুবিধা নেয়ার মাধ্যমে এসব চালবাজিতে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকায় কার্ড বিতরণে নানা ধরণের অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী জনসাধারণ। কোন কোন ওয়ার্ডের দরিদ্র পরিবার ১০টাকায় চাল কেনার কার্ড না পেলেও পাকা বাড়ির মালিক কার্ড পেয়েছেন বলে স্থানীয় সুত্রে অভিযোগে প্রকাশ। ফলে এ ধরণের অনিয়মের কারনে সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের সফল এ উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

অনিয়মের এই রকম চিত্র ধরা পড়েছে ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডে। ইউপি সদস্য রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। অভিযোগে ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের ওপরপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ সোলেমানের ছেলে দিনমুজুর খোরশেদ আলম দাবি করেন, ইউপি মেম্বার রেজাউল করিম তার পরিবারকে ১০ টাকায় চাল কেনার একটি কার্ড দেয়ার কথা দেন। এই জন্য তার কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নেয়া হয়। কিছুদিন পর তার নামে ঠিকই একটি কার্ড ইসু করেন মেম্বার রেজাউল। খোরশেদ আলম অভিযোগ করেন, তার কার্ড নম্বর-৪৪৬। কিন্তু তাকে ওই কার্ডটি আর দেয়নি মেম্বার রেজাউল। পরে জানতে পেরেছি ওই কার্ড দিয়ে তিনি অন্যজনকে চাল ক্রয়ের সুযোগ দিয়েছেন। আমি কার্ডটি চাইলেও তিনি পরের বার দেখব বলে শান্তনা দিয়ে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ভুক্তভোগী খোরশেদ আলমের এমন অভিযোগ ভিডিও আকারে রক্ষিত আছে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে। একই ধরণের আরো একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, মেম্বার রেজাউলের বিরুদ্ধে। তিনি তার ওয়ার্ডের ফয়জুল্লাহ নামের একজনের স্ত্রীকে ১০টাকার চাল কেনার কার্ড ইসু করে পাঁচশত টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

বরইতলী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আইয়ুব খান মিন্টু জানিয়েছেন, পুরো ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ১০টাকার চাল কার্ড বিতরণে অনিয়ম হয়েছে। প্রশাসন তদন্ত করলে অনিয়মের সত্যতা অবশ্যই পাবেন। যাঁরা দরিদ্র পরিবার, তাঁরা কার্ড পাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু তাদের ভাগ্য সহসা কার্ড জুটেনি। বরং এখানে অনেকের দোকানপাট-ব্যবসা বাণিজ্য আছে, এমনকি পাকা বাড়ি আছে সোভাগ্যবশত: তাঁরাই বেশির ভাগ কার্ড পেয়েছেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত মেম্বার রেজাউল করিম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কার্ড বিতরণের মালিক তিনি একা নন। তবে যাদেরকে কার্ড দেয়া হয়েছে তাদেরকে যাছাই বাছাই করে ও তাদের ভোটার আইডি কার্ড নিয়েই দেওয়া হয়েছে। এখানে কারো কাছ থেকে টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। এসব অভিযোগ অবান্তর।

পাঠকের মতামত: