চকরিয়ায় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে হামলার পর উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি সদস্য কফিলউদ্দিন সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী রাত ৮টায় উপজেলার পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের সিকদারপাড়া ষ্টেশনে শালিশ বিচার করার সময় হামলা করে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আওয়ামীলীগ নেতা কফিল উদ্দিন বাদি হয়ে গত তিনবছর পূর্বে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী বাহাদুর আলমকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছিলো। যার মামলা নং জিআর ৪২৫/১৪। সন্ত্রাসী বাহাদুর ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দিয়ে আসছিলো। একপর্যায়ে সন্ত্রাসী বাহাদুর বাদি কফিল মেম্বারকে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিয়েছেন। গত ২৭ফ্রেবুয়ারী রাত ৮টায় সিকদারপাড়া ষ্টেশনের একটি দোকানে বসে ইউপি সদস্য কফিল শালিশ বিচার করছিলেন। এসময় অর্তকিত অবস্থায় সন্ত্রাসী বাহাদুর আলমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী সশস্ত্র অবস্থায় হামলা ও এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায় ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিন। পরে খবর পেয়ে কফিল উদ্দিনের ভাই ইমরুল কায়েস ছোট ভাই রিয়াদ সিকদার সহ স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে গুরুতর আহত হয় ইমরুল (২৮), রিয়াদ সিকদার (২৫), জয়নাল আবেদীন (৩৯), আতিক (৩৪), রাহাদুল ইসলাম (২০)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে ইউপি সদস্য কফিল, তার ছোট ভাই ইমরুলকে আশঙ্কা জনক অবস্থার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাসপাতালে। ঘটনার পর ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিনের ছোট ভাই পূর্ববড় ভেওলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ সিকদার বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় সন্ত্রাসী বাহাদুর আলম, মিজানুর রহমান, এরশাদ প্রকাশ জঙ্গি এরশাদ, মোজাম্মেল হক ও রিয়াজকে আসামী করে আরও ৪-৫জন অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন। বাদি রিয়াদ সিকদার মামলা করার সাতদিন হলেও এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামীরা দিনদুপুরে চলাফেরা করলেও পুলিশ তাদেরকে ধরছে না। এনিয়ে তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
এদিকে বাদি রিয়াদ জানান, তার ভাই ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার সন্ত্রাসী বাহাদুরের নেতৃত্বে হামলা এবং গুলিবিদ্ধ করেছে। ওই ঘটনায় আমি বাদি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। অথচ সন্ত্রাসী বাহাদুরের শ্বাশুড়ি লুৎফুনেছা বুলুকে বাদি সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় ওয়ার্ড় আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিয়াকতকেও আসামী করা হয়েছে। মুলত বাহাদুর ও তার সহযোগিদের বাচানোর জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন ওই নারী। দ্রুত সময়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি। ##
পাঠকের মতামত: