এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়ায় সীমানা বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নেজাম উদ্দিন খুনের ঘটনায় পুলিশ হামলাকারী পক্ষের নারীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাতে চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটিদল উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাট স্টেশন লাগোয়া পাহাড়িয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন স্থানীয় মনজুর আলমের ছেলে বশির আলম ও আবু তাহেরের স্ত্রী রুজিনা আক্তার। অপরদিকে বুধবার নিহতের ছোটভাই মোহাম্মদ এহেছান বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত দুইজনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গ্রেফতারকৃত দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের পাহাড়িয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শিকার লালু মিকারের বসতভিটার সীমানা বিরোধ নিয়ে প্রতিবেশি ছাবের আহমদের ছেলে মনজুর আলম গংয়ের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বিচারও চলমান রয়েছে। এরপরও মঙ্গলবার দুপুরে মনজুর আলমসহ তাঁর লোকজন অতর্কিত হানা দিয়ে লালু ফকিরের বসতভিটা দখল করে টিনের বেড়া দিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে লালু ফকির ও তাঁর ছেলে এবং ভাই-ভাতিজা এসে প্রতিপক্ষ মনজুর আলম গংকে পরিষদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরণের স্থাপনা না করতে বাঁধা দেন।
ওইসময় অভিযুক্ত মনজুর আলম পক্ষের লোকজন হামলা করে লালু ফাকির পক্ষের ওপর। ওইসময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লালু মিকার (৫২), তাঁর ছেলে নেজাম উদ্দিন (৩০), মোহাম্মদ এহেছান (১৭), ভাই রহুল আমিন (৪৬) ও ভাতিজা মোহাম্মদ হোসেন (১৮) গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে লালু ফকিরের মাথা এবং তাঁর ছেলে নেজাম উদ্দিনের মাথা ও হাত কেটে যায়। ঘটনার পর আহত ৫জনকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের মধ্যে লালু মিকার ও ছেলে নেজাম উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিন রাত সাতটার দিকে চমেক নেয়ার পথে মারা যান নেজাম উদ্দিন।
চকরিয়া থানার ওসি মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বসতভিটার সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় নেজাম উদ্দিন নামের এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর ভাই বাদি হয়ে থানায় ১০জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারনামীয় নারীসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: