চকরিয়া উপজেলার বদরখালী বাজারে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রতারিত অংশিদাররা।
এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে অংশিদারদের জামানত ও টিকিট বিক্রির প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধরা অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত দেয়ার দাবিতে গতকাল রোববার দুপুরে বদরখালী বাজারে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন টিটু, সহসভাপতি শেখ সালাহউদ্দিন সিদ্দিকি, সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের সদস্য নুর হোসেন বাঙ্গালী, হুমায়ুন শরীফ মিঠু, আনোয়ার পারভেজ, আবুল কাশেম, আবদুল খালেক, আব্বাছ উদ্দিন, মাঈন উদ্দিন, মো. ছোটন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২ এপ্রিল রাতে বদরখালী কলোনীজেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংগীত শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন। কোমল পানীয় ইউরো অরেঞ্চ এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্পন্সর করে। পাশাপাশি অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের ব্যানারে বদরখালী ইউনিয়নের বিভিন্নস্থরের ২৯০ জনকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠনের পর তাঁেদর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও আওয়ামীলীগের নেতা নুরে হাবিব তসলিম। পরে টিকেট বিক্রি করে আরো পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ৬৯০ টাকা আদায় করেন তছলিম ও তাঁর অনুগত লোকজন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের আগে অংশীদারদের কাছ থেকে নেওয়া এবং টিকেট বিক্রি বাবদ মিলিয়ে ২০ লাখ ৩২ হাজার ৬৯০ টাকা দেখানো হলেও অভিযুক্ত সমন্বয়ক নুরে হাবিব তছলিম ও সহযোগি অনুষ্ঠানের সভাপতি মহি উদ্দিন এমেলি, সম্পাদক আবছার উদ্দিন বাতেন ভুট্টো, ক্যাশিয়ার রেজাউল করিম, হিসাবরক্ষক সিরাজুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইউনুছ সিদ্দিকি, কফিল উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন যোগসাজশের মাধ্যমে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে অংশিদার ও টিকিট বিক্রির আয়ের সমুদয় টাকা আত্মসাত করেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গান পরিবেশন করতে এমপি মমতাজ সম্মানি বাবত ৬লাখ টাকা নেবে এমন কথা অনুষ্ঠানের আগে সমন্বয়ক নুরে হাবিব তছলিম সকলকে জানালেও পরে চুড়ান্ত হিসেবে শিল্পীর সম্মানী বাবত দেখানো হয়েছে সাড়ে ১৩লাখ টাকা। এভাবে নামে-বেনামে খরচের হিসেব দেখানো হয়েছে আরো সাড়ে ৬লাখ টাকা। বক্তারা বলেন, আমরা অনুষ্ঠানের পরদিন হিসাব চাইলে কৌশলে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় তছলিম। পরে গত ৫ এপ্রিল তছলিমের অনুগত লোকজন আমাদেরকে হিসাব দেখায়। তাঁেত আরো ৯১ হাজার ২শত টাকা ঘাটতি দেখানো হয়।
অভিযোগ অস্কীকার অভিযুক্ত নুরে হাবিব তছলিম বলেন, আমি ঢাকায় থাকি বলেই এলাকার লোক হিসেবে কয়েকজন আমার সাথে যোগাযোগ শিল্পী মমতাজকে বদরখালীতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে। আমি তাকে (শিল্পী মমতাজ) নিয়ে গিয়ে অনুষ্ঠান করে ফের ঢাকায় চলে আসি। অনুষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের সাথে আমার কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই।
পাঠকের মতামত: