চকরিয়ায় রাতের আঁধারে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের পুর্ব বানিয়ারকুম এলাকায় প্রবাসী মোক্তার আহমদের বাড়িতে ঢুকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা পরিবার সদস্যদের জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ ৯লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলার সময় বাড়িতে ঢোকার জন্য দরজা-জানালা ও দেয়ালও ভাংচুর করা হয়েছে। মারধরে আহত হয়েছে প্রবাসীর স্ত্রী, দুই ছেলে-মেয়ে সহ ৪জন।
অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রী আছমাউল হোসনা জানায়, তার স্বামী মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সৌদিআরবে থাকেন। কিছুদিন জমি ক্রয়ের জন্য ২লাখ ৭০হাজার টাকা পাঠায়। তার ধারণা গোপনে বিষয়টি জানতে পেলে মুশোশধারী দুর্বৃত্তরা রোববার রাত রাত ১২টার দিকে বাড়িতে হানা দেয়। প্রথমে বন্দুকের বাট দিয়ে বাড়ি মেরে দরজা খোলার জন্য বলে। এক পর্যায়ে তাঁরা জানাল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে।
গৃহকত্রী হোসনা দাবি করেন, বাড়িতে ঢুকে আলমিরার চাবি না দেওয়ায় তাকে (আছমাউল হোসনা) ও ছোট শিশু ছেলে মাহের, মেয়ে ইসরাত জন্নাত ও ছোট ভাই মনির উদ্দিনকে মারধর করতে শুরু করে। ওইসময় গুলি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে চাবি নিয়ে মুখোশধারী দৃর্বৃত্তরা আলমিরা থেকে নগদ ২লাখ ৭০হাজার টাকা এবং ৪লাখ ৮০হাজার টাকা মূল্যের ১২ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেট, টর্চ লাইট লুট ও বাড়ি ভাংচুরে ১লাখ ২০হাজার টাকা সহ ৯লক্ষাধিক টাকার লুট করে।
ভুক্তভোগী পরিবারের গৃহকর্ত্রী আছমাউল হোসনা (৩০) অভিযোগ করেছেন, ঘটনার সাথে জড়িত বেশ কজনকে তিনি সনাক্ত করতে পেরেছেন। তাদের মধ্যে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ছিকলঘাট এলাকার মোহাম্মদ সিমু (২৬) নজরুল ইসলাম (৩৮) সালাহউদ্দিন প্রকাশ হাসু (৩০), মোহাম্মদ হিমু (২৬) ও প্রবাসীর প্রতিবেশি পরিবারের দুই ভাই ইউসুফ (২৭) ও ইউনুছ (২৯) সহ অনেকে ছিল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারটি প্রশাসনের কাছে অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। এমনকি ঘটনার ব্যাপারে থানা পুলিশকে অবহিত করেনি। তাই বিষয়টি সম্পর্কে বেশি কিছু আমার জানা নেই। #
পাঠকের মতামত: