চকরিয়ায় পরকিয়া প্রেমে আসক্ত ২সন্তানের জননী স্বামীর সুন্দর সংসার ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়েছে। গত ৪দিনেও স্ত্রীর কোন সন্ধান না পেয়ে স্বামী এ বিষয়টি জানায় স্থানীয় সাংবাদিকদের।
জানাগেছে, চকরিয়া পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা মৌলভীরচর (মাতামুহুরী ব্রীজ সংলগ্ন) আব্বাস আহমদের পুত্র জাহেদুল ইসলামের সাথে ২০১০সালে ইসলামী শরীয়াহ মতে ৩লাখ টাকার দেনমোহারে বিয়ে হয় উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাইজকাকারা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে রোকসানা আক্তারের। সুন্দরভাবে সংসার চলে প্রায় ৬বছর। সংসারে ফুটফুটে ৫বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা ও ৩বছর বয়সী ছেলে নিহাদুল ইসলাম নামে দুই সন্তান রয়েছে।
স্বামী জাহেদুল ইসলাম জানান, নিজ পেশার কারণে বাহিরে অবস্থানের সুযোগে বাড়ির পাশ^বর্তী একটি বেডিং কারখানার কর্মচারীর সাথে স্ত্রী রোকসানা আক্তার পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৮অক্টোবর (শুক্রবার) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে স্ত্রীর পিতৃালয়ে যাওয়ার কথা বলে শ^াশুড় বাড়ি থেকে চলে যায়। যাওয়ার সময় সুকৌশলে স্বামী পরিবারের ২ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৮০হাজার টাকা, বিভিন্ন সংস্থা ও পাড়া-প্রতিবেশির কাছ থেকে অতিরিক্ত লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে নেওয়া প্রায় ২লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পরকিয়ায় জড়ানো বেডিং কারখানার কর্মচারী ঢাকার অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই যুবকের সাথে দুই সন্তানকে সাথে নিয়েই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। স্ত্রীর পিতা-মাতা সহ আত্মীয় স্বজন এবং স্বামী পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে গত ৪দিন ধরে খোজেও কোন সন্ধান মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে; দুই সন্তান সহ স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা শহরের কোন এলাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এনিয়ে স্বামী আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।
স্থানীয় চকরিয়া পৌর ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম জানান, জাহেদুল ইসলামের স্ত্রী পিতার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে পরকিয়ার টানে পালিয়েগেছে শুনেছি। এনিয়ে সম্ভাব্য স্থানে খোজ নেওয়ার পর থানাকে অবহিত করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
পাঠকের মতামত: