চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে একটি মৎস্য প্রকল্পে দিনদুপুরে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট করেছে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে মৎস্য প্রকল্পের এক কর্মচারীকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। ঘটনার সময় মাছ, জালসহ মালামাল লুট ও বিপুল পরিমাণ মাছের পোনা ছেঁেড় দেয়ায় প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে মৎস্য প্রকল্পটির ইজারাদার পক্ষের। বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়াস্থ আলীম উদ্দিন ওয়াকফ এসেস্টের কালাইয়াঘোনা ও ভরাখাল নামক স্থানে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।
এ ঘটনায় মৎস্য প্রকল্পের ইজারাদার খুটাখালী ইউনিয়নের হেতালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত নুর হোসেনের ছেলে জিয়াউদ্দিন কাজল বাদি হয়ে গতকাল বিকালে চকরিয়া থানায় চারজনের নাম উল্লেখ্য করে ১২জনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, একই ইউনিয়নের খাসঘোনা এলাকার তজিম উল্লাহ প্রকাশ তজু উল্লাহ’র ছেলে মনির আহমদ, নুর আহমদ, মোক্তার আহমদ ও ছৈয়দ উল্লাহ’র ছেলে মৌলভী রফিক।
মৎস্য প্রকল্পের ইজারদার জিয়াউদ্দিন কাজল থানায় দায়ের করা এজাহারে জানান, বর্ণিত ঘটনাস্থলের ১৫ একর আয়তনের একটি মৎস্য প্রকল্প প্রায় ৮বছর যাবত মুল মালিক বাঁশখালীর আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক এমপি প্রয়াত সুলতানুল কবির চৌধুরীর পরিবার থেকে ইজারা নিয়ে তিনি মৎস্য চাষ করছেন। একইভাবে চলতি ২০১৭ সালে তিনি বিপুল টাকা পুজি বিনিয়োগ করে ইতোমধ্যে মৎস্য প্রকল্পে মাছের পোনা অবমুক্ত করে চাষ শুরু করেছেন।
ইজারাদার জিয়াউদ্দিন কাজল অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি সময়ে মৎস্য প্রকল্পে প্রচুর মাছ উৎপাদন হতে দেখে দুর্লোভের বশবর্তী হয়ে কিছুদিন ধরে অভিযুক্ত আসামিরা তার কাঁছ থেকে একলাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে মৎস্য প্রকল্প থেকে তাকে উচ্ছেদে নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে। এ অবস্থায় তিনি টাকা দিতে রাজি না হলে সর্বশেষ গতকাল সকালে অভিযুক্তরা দেশীয় নানা ধরণের অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৎস্য প্রকল্পে হামলা চালায়। এসময় কর্মচারী সফিউল আলম তাদেরকে বাঁধা দিতে চেষ্টা করলে তাকে পিটিয়ে জখম করা হয়।
ইজারাদারের দাবি ঘটনার সময় অভিযুক্তরা তার মৎস্য প্রকল্পের খামারঘরে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় মাছ, জাল ও মালামাল লুট করে। পরে মৎস্য প্রকল্পের পাউলবোট খুলে দিলে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছের পোনা পানিতে ভেসে যায়। এ ঘটনায় তার প্রায় ২লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। #
পাঠকের মতামত: