ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা

aaaaaএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

নারী ও শিশু উন্নয়ন খাতে প্রায় ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ রেখে নতুন অর্থবছরে এক কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষনা করেছে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ। বুধবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট ঘোষনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। এসময় তিনি বলেন, ইউনিয়নের সকলস্থরের নাগরিকের উন্নত সেবা প্রদানে ডুলাহাজার ইউনিয়ন পরিষদ সদা প্রস্তুত। এজন্য এবছর দেড় কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় ওয়াদা করেছিলাম জনগণের কল্যাণে কাজ করবো, পরিষদের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করবো। এ লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ।

চকরিয়া উপজেলা সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবি’র সহায়তায় ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার মোঃ জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডুলাহাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও সনাকের সাবেক সভাপতি আলহাজ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সনাক সহ-সভাপতি সন্তোষ কুমার সুশীল ও সনাক সদস্য রুনেন্দু বিকাশ দে। বক্তব্য রাখেন ইউপি সচীব হুমায়ুন কবির, ইউপি সদস্য মোঃ সোলায়মান, জসিম উদ্দিন প্রমুখ। এতে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য, এলাকা গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নাগরিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক নারী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নাগরিকদের উন্নত সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চর্চা করতে হবে। একটি ইউনিয়ন পরিষদ আন্তরিক হলে উন্নত নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য জনগণের অত্যন্ত প্রিয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারে। তিনি আরো বলেন, আমাদের যা সম্পদ আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে হবে। উল্লেখ্য, এবছর ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ ন’টি ওয়ার্ডে স্থানীয় জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণে তাদের মতামতের ভিত্তিতে এবছরের বাজেট তৈরী করে এবং পরিষদের চুড়ান্ত বাজেটে পুনরায় জনগণের মতামত নেয়ার জন্য উক্ত উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানের আয়োজেন করে।

নতুন অর্থবছরে ডুলাহাজার ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে যে সব খাতে আয় দেখানো হয়েছে তা হলো, নিজস্ব উৎস হতে ১১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা, এলজিএসপি থেকে থোক বরাদ্দ ৪০ লক্ষ টাকা, ভূমি হস্তান্তর কর (১%) ১৫ লক্ষ টাকা, টিআর-কাবিখা, এডিপি থেকে ৯০ লক্ষ টাকা, অনুদান ১ লক্ষ টাকা। উল্লেখযোগ্য ব্যয়ের খাত হিসেবে দেখানো হয়েছে, রাস্তা নির্মাণ ও মেরামত ৭৫ লক্ষ টাকা, এলজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্প ৪০ লক্ষ টাকা, নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে সচেতনতামূলক ও সহায়তা প্রকল্প ৩০ হাজার টাকা, নিজস্ব তহবিল থেকে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ৭৮ হাজার টাকা, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় খাতে ২ লক্ষ টাকা, শিক্ষা খাতে ১৫ লক্ষ টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ১০ লক্ষ টাকা, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৫ লক্ষ টাকা। প্রসঙ্গত: এবছর প্রথম নারী ও শিশু উন্নয়নের জন্য ৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮ শত টাকা এবং বাল্য বিবাহ, যৌতুক, নারী নির্যাতন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ও মাদকাশক্তির বিরুদ্ধে সচেতনতার্মলক কর্মকান্ডের জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ###

পাঠকের মতামত: