চকরিয়ায় চোরাই সার বিক্রির অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারের গুদাম থেকে দেড়শত বস্তা ছিকনদানার ইউরিয়া সার ও আরো ৬০বস্তা ডিএপি সার ভর্তি একটি চাঁেদর গাড়ি (জীপ) জব্দ করেছে। ওইসময় আটক করা হয়েছে গাড়ি চালককে। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের বেতুয়াবাজার চৌমুহনী এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযুক্ত ডিলারের নাম মের্সাস ছরওয়ার এন্ড সন্স। তিনি উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের নিয়োগপ্রাপ্ত বিসিআইসির সার ডিলার। সার ভর্তি গাড়ি ও চালককে চকরিয়া থানায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে অভিযোগ উঠেছে, ডিলার মের্সাস ছরওয়ার এন্ড সন্স গতবছরও এককভাবে সরকারি বরাদ্দের সার চট্টগ্রামের ফার্টিলাইজার কারখানা থেকে উত্তোলনের পাশাপাশি আশুগঞ্জ থেকে চোরাই পথে ছিকনদানার ইউরিয়া সার এনে ব্যবসা করেছে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম রাতে অভিযান চালিয়ে চকরিয়া পৌরশহরের বাসস্টেশন এলাকায় ডিলারের দোকান ও গুদাম থেকে ৮০০ বস্তা অবৈধ সার জব্দ করেন। পরে এসব সার নিলামে বিক্রি করে প্রশাসন।
উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন বলেন, সার ডিলার মের্সাস ছরওয়ার এন্ড সন্স পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলার। কিন্তু তিনি সরকারী বরাদ্ধের সার উত্তোলনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে চোরাই পথে ইউরিয়া সার এনে অবৈধভাবে চকরিয়া ও আশপাশের উপজেলায় বিক্রি করে আসছিলেন। তিনি বলেন, বিষয়টি গোপনে জানতে পেরে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামের নেতৃত্ব ভ্রাম্যমান আদালত ওই ডিলারের গুদামে অভিযান পরিচালনা করে। ওইসময় ১৫০ বস্তা ছিকন দানার ইউরিয়া সার (আশুগঞ্জের সার) জব্দ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আরিফ দুলালের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এর আগে গুদাম থেকে অন্যত্র পাচারকালে ৬০বস্তা ডিএপি সার ভর্তি একটি জীপ গাড়ি ও চালককে আটক করে থানায় সৌর্পদ করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, জব্দকৃত সার গুলো নিলাম দেয়া হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। #
পাঠকের মতামত: