ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযোগ দিতে থানায় যেতে সাহস পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী পরিবার

faloupএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা-বদরখালী সড়কের লাল ব্রীজ এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে বদিউল আলম নামের বৃদ্বকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও মাথা ফাটিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনো থানায় অভিযোগ দিতে পারেনি ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযুক্তদের নানা ধরণের হুমকির কারনে আহত বদিউল আলমের পরিবার এব্যাপারে অভিযোগ দিতে থানায় যেতে সাহস পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে মোহাম্মদ হানিফ। অপরদিকে গুরুতর আহত বদিউল আলমকে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি ঘটলে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আহত বদিউল আলম চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাতটার দিকে উপজেলার চিরিঙ্গা-বদরখালী সড়কের লাল ব্রীজের সন্নিকট এলাকায় ঘটেছে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত বদিউল আলমকে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ঈদমনি পশ্চিমপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আজু মিয়ার ছেলে।

আহত ব্যক্তির ছেলে মোহাম্মদ হানিফ জানান, তার সৌদি প্রবাসী বড়ভাই মোহাম্মদ কাইছার মোবাইল ফোনে বাবার কাছে খবর দেন বাড়ির জন্য এক লাখ ৯০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। ওই টাকা আনতে আমার বাবা বদিউল আলম ৮নভেম্বর বিকেলে একা চকরিয়া উপজেলা সদরের চিরিঙ্গাস্থ এক নিকট আত্মীয়ের কাছে যান। সন্ধ্যার পর ওই টাকা গুলো একটি ব্যাগে ভরে নিয়ে তিনি গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত আনুমানিক সাতটার দিকে তিনি চিরিঙ্গা বদরখালী সড়কের লালব্রীজ রাস্তার মাথায় গাড়ি থেকে তার বাবা টাকা নিয়ে সামনে কিছুদুর গেলে ব্রীজের ওপর আগে থেকে উৎপেতে ৭-৮জন ছিনতাইকারী সামনে এসে গতিরোধ করে তার বাবাকে (বদিউল আলম) ঝাপটে ধরেন। এক পর্যায়ে তাঁরা টাকার ব্যাগ নিয়ে টানা হেঁচড়া শুরু করলে তিনি ব্যাগ দিতে অনীহা দেখান। তখন ছিনতাইকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়ে ও কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর জখম করে মাটিতে ফেলে দেয়ার পর দুর্বৃত্তরা টাকা গুলো নিয়ে পালিয়ে যায়।

আহত ব্যক্তির ছেলে হানিফ অভিযোগ করেছেন, ঘটনায় জড়িত ঈদমনি এলাকার ফজল করিমের ছেলে আবদুল মান্নান ও তার সহযোগি পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশকাটা অংশের লালব্রীজ এলাকার কোরবান আলীর ছেলে জমির প্রকাশ অতুল্লাহ, নুরুল আমিনের ছেলে নেছার, গোলাম কাদেরের ছেলে নুর মুহাম্মদ অভিযুক্তরা বর্তমানে তাকেসহ পরিবার সদস্যদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। যাতে তাঁরা ঘটনার ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করতে না পারে। হানিফ দাবি করেন, অভিযুক্তদের নানা ধরণের হুমকির কারনে ঘটনার পর থেকে তাঁরা এখনো বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে যেতে সাহস পাচ্ছেনা। ভুক্তভোগী পরিবারটি এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #

পাঠকের মতামত: