চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা’র বিরুদ্ধে তার অধীনস্থ উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সনজিব বড়–য়াকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৬ এপ্রিল উপজেলা কৃষি বিভাগের রাজস্ব খাতের আউশ প্রদর্শনীর নগদ টাকা, সার, বীজ ও ড্রাম বিতরন অনুষ্ঠানে উপকারভোগী কৃষকের তালিকায় ক্রমিক নম্বর ভুল হওয়ার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত কৃষি কর্মকর্তা তাকে (আহত) কিল-ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ করেছেন সনজিব বড়–য়া। আহত ওই কর্মকর্তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আক্রান্ত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা (উন্নয়ন শাখা) সনজিব বড়–য়া ঘটনার দিনই কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপ-পরিচালক ঘটনাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
অভিযোগে আক্রান্ত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সনজিব বড়–য়া বলেন, কৃষকের মাঝে আউশ প্রদশর্নীর উপহরণ বিতরণ করার সময় তালিকায় একটি ক্রমিক নম্বর ভুল হয়। বিষয়টি দেখে কৃষি কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ ক্ষেপে যান। এসময় তাকে গালিগালাজ করেন। এতে প্রতিবাদ করলে তাকে ( অভিযোগকারী) কিল-ঘুষি মারেন তিনি (অভিযুক্ত কর্মকর্তা। ঘটনায় তার হাতের আঙ্গুল কেটে গেছে। ঘটনাটির ব্যাপারে কাউকে অভিযোগ করলে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়্ াহবে এমন হুমকির দিয়েছেন বলে দাবি করেন সনজিব বড়–য়া।
অভিযোগ অস্কীকার করে চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আতিক উল্লাহ বলেন, আউশ প্রর্দশনী অনুষ্ঠানের দিন কাউকে আমি মারিনি, এমনকি গালিও দিইনি। তবে উপকারভোগী কৃষকের তালিকায় নামের ঘরে ঘশামাঝা হওয়ায় বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। তাই ওই কর্মকর্তাকে ভৎর্সনা করা হয়েছে মাত্র।
পাঠকের মতামত: