ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে খতিয়ান জালিয়াতির গুরুতর অভিযোগ!

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন খতিয়ান জালিয়াতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষ অভিযোগ তুলেছেন, সংশ্লিষ্ট ভূমি বিভাগের কতিপয় লোকজনের সহায়তায় তাদের ভোগদখলীয় বেশ কিছু জায়গা রের্কটভুক্ত করে নিয়েছেন সংঘবদ্ধ চক্রটি। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও উপজেলা সহকারি কমিশনারের (ভুমি) কাছে নালিশী মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষের মৃত সাবের আহমদের ছেলে নিজাম উদ্দিন ও মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে সাব্বির আহমদ গং। তাদের বাড়ি চকরিয়া পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন ফুলতলা গ্রামে।

মামলার আর্জিতে বাদিপক্ষ জানিয়েছেন, উপজেলার লক্ষ্যারচর মৌজার বিএস ২৩৯ নম্বর খতিয়ানের জায়গা রের্কডীয় মালিক ছিদ্দিক আহমদ মরনে অভিযোগকারী ওয়ারিশরা মালিক হন। ইতোমধ্যে বাদিপক্ষের সাব্বির আহমদ হিস্যায় রেকর্ডমতে ও ১৯৯৪ সালের ১০ মার্চ ৯২৫ নম্বর রেজিস্ট্রাট দলিলমুলে রের্কডীয় ছমন খাতুনের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়ে ছয় গন্ডা এক কড়া জায়গা মালিক হিসেবে বৈধভাবে ভোগদখলে রয়েছেন।

মামলার আর্জিতে বাদি সাব্বির আহমদ জানান, তাঁর নামীয় জায়গার বিপরীতে তিনি একটি জমাভাগ খতিয়ান সৃজন করতে কিছুদিন আগে উপজেলা ভুমি অফিসে যান। তিনি সেখানে কাগজপত্র তল্লাসি করে দেখতে পান অভিযুক্ত মৃত আহমদ কবিরের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা গং তাদের ওয়ারিশী পাপ্য জায়গা অনুযায়ী খতিয়ান সৃজন না করে কৌশলে শটামির আশ্রয় নিয়ে অতিরিক্ত জিরো দশমিক জিরো ২৬৬ একর জায়গা নিজেদের অনুকুলে নিয়ে একটি নতুন খতিয়ান (নম্বর ৩৪৪০) সৃজন করে নিয়েছেন। ফলে বাদিপক্ষ নিজেদের নামে জায়গার বিপরীতে খতিয়ান সৃজন করতে গিয়ে আর্থিক হয়রাণিসহ বাঁধাগ্রস্থ হয়েছেন।

মামলার বাদি সাব্বির আহমদের ছেলে নুরুল আবছার চকরিয়া প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানান, খতিয়ান জালিয়াতির এ ঘটনায় তাঁর বাবাসহ পরিবারের দুই সদস্য ইতোমধ্যে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে একটি রিভিউ মামলা (নম্বর-১৫/১৭) ও চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনারের (ভুমি) কাছে অপর একটি নালিশী মামলা করেছেন।

তারমধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বাদিপক্ষের অভিযোগটি আমলে নিয়ে এব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে উপজেলা সহকারি কমিশনারকে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে সহকারি কমিশনার ঘটনার বিষয়টি সরেজমিন তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে কাকারা ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন।

বাদির ছেলে নুরুল আবছার অভিযোগ করেছেন, তদন্তের দায়িত্বভার পেয়ে কাকারা ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ইছমত আলী আমাদের (বাদিপক্ষ) সাথে কোন ধরণের যোগাযোগ করেনি। বরং বিবাদিপক্ষের ওসমান গনী নামের একজনের মাধ্যমে সুবিধা নিয়ে তিনি ইতোমধ্যে সরেজমিন তদন্ত ছাড়াই একতরফা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

এ অবস্থায় ভুক্তভোগী জায়গার মালিকপক্ষ ঘটনার সত্যতা উৎঘাটনের মাধ্যমে বিবাদিপক্ষ কতৃক লক্ষ্যারচর মৌজার আপত্তিকৃত বিএস ৫৫৬৫ দাগের জিরো দশমিক জিরো ২৬৬ একর জায়গার নামে তাদের সৃজিত খতিয়ান (নং ৩৪৪০) থেকে বাদিপক্ষের হাতিয়ে নেয়া জায়গা কর্তনপুর্বক বিএস ২৩৯ নম্বর খতিয়ানের মালিকানা পুর্ণবহালের আবেদন জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: