চকরিয়ার উপজেলার চিংড়ি জোন খ্যাত রামপুর মৌজার সাধারণ চিংড়ি চাষিরা সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। চিংড়ি মৌসুমে মাছ আহরণের সময় এসব সন্ত্রাসীরা চিংড়ি চাষিদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আদায় করছে মোটা অংকের চাঁদা। চাঁদা না দিলে লুটে নিয়ে যায় ঘের থেকে চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার সাহস পাচ্ছে না সাধারণ চিংড়ি চাষিরা। তাদের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাধা দিলে চিংড়ি চাষিদের মারধরের ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। স্থানীয় সরকারী দুই কর্মকর্তার আত্বীয় পরিচয়ে সন্ত্রাসীরা এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় চিংড়ি চাষিদের অভিযোগ।
অভিযোগে জানা যায়, চকরিয়ার চিংড়ি জোনের রামপুর মৌজার ৫নং পোল্ডারের আওতাধীন শতশত একর চিংড়ি ঘের রয়েছে। এসব চিংড়ি ঘের বর্গা নিয়ে সাধারণ চাষিরা মৌসুমে চিংড়ি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ওই পোল্ডারের একাধিক চিংড়ি চাষি অভিযোগ করেন, উপজেলার সাহারবিল এলাকার বাসিন্দা সরকারী এক কর্মকর্তা ও ওই এলাকার জমির নামের পুলিশের এক দারোগার নাম ভাঙ্গিয়ে আলমগীর ও সিরাজ নামের দুই ব্যক্তি নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চক্র চিংড়ি চাষিদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে।
ওই পোল্ডারের ১০একর বিশিষ্ট ৩১৮, ৩১৯ ও ৩২০ নং প্লটসহ একাধিক চাষিরা এসব চাঁদাবাজ চক্রের হাতে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হচ্ছে। চাঁজাবাজ চক্র চাষিদের নির্যাতন করে থেমে নেই। হুমকি ও মারধর করে আদায় করছে মোটা অংকের টাকা। টাকা দিতে দেরি হলে লুটে নিয়ে যাচ্ছে ঘেরের চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। যার ফলে সন্ত্রাসীদের কাছে সাধারণ চিংড়ি চাষিরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আতঙ্কে রয়েছে আশপাশে আরো শত-শত চিংড়ি চাষি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারীভাবে লিজ নেওয়া এক ব্যক্তি জানান, সরকারী কর্মকর্তার ছোট ভাই সিরাজ ও পুলিশের দারোগা জমিরের ভগ্নিপতি আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে তার চাষিকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। তারা প্রতিবছর শতশত সাধারণ চিংড়ি চাষিদের কাছ থেকে কোটি-কোটি চাঁদা ও মাসোয়ারা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলা জড়ানোর হুমকি দেয়।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ কামরুল আজম বলেন, এরকম কোন অভিযোগ এখনো কেউ থানায় দায়ের করেনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
পাঠকের মতামত: