এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান মিজানের পাশে দাঁড়িয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান। গত ৯নভেম্বর শারীরিক প্রতিবন্ধী মিজান চকরিয়া থানায় একটি জনসচেতনামুলক সেমিনারে প্রতিবন্ধিদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মিজানকে দেখে চকরিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান তাঁর শারীরিক খোঁজখবর নেন।
অনুষ্ঠানে ওসি হাবিব প্রতিবন্ধী মিজানের কাছে জানতে চান, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় চলাফেরা ও সংসার কিভাবে চালান। এমন সময় মিজান একটি সহায়ক উপকরণ (এক্সক্লুসিভ বেইজ) অভাবের কথা জানান। পরে ডিভাইসটি কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ওসি হাবিব। রবিবার (১৭নভেম্বর) তাঁর নিকট সহায়ক উপকরণটি (এক্সক্লুসিভ বেইজ) হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, মিজানের বয়স এখন ৩২। জন্মের তিন বছরের মাথায় পোলিও আক্রান্ত হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন তিনি। অভাবের সংসারের জীবন কোনভাবে পার করছিল। কেটে গেল ২৯বছর। টাকার অভাবে চলাফেরার জন্য এক্সক্লুসিভ বেইজ দরকার হলেও কিনতে পারেনি। সম্প্রতি একটি সেমিনারে মিজান চকরিয়া থানার ওসি হাবিবের নজরে আসে। খুলে বলে ২৯বছর কষ্টে কাটানো জীবনের কথা।
হৃদয়বান ওসি হাবিব প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারী এনজিও এসএআরপিভির চকরিয়া আঞ্চলিক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিজানের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেন। মিজান প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা এসএআরপিভির ও পিএইচআরপিবিডি প্রকল্পের সদস্য। মিজান প্রতিবন্ধী হলেও ভয়কে জয় করে এখন এনজিও সংস্থা এসএআরপিভির সহায়তায় ট্রেলারিং কাজ শিখে সংসার চালাচ্ছে। তাঁর পরিবারে স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘একটি সেমিনারে মিজান তাঁর প্রতিবন্ধী জীবনের দৃঃখের কথা শেয়ার করে। মিজানের কষ্টের কথা শুনে খুব খারাপ লেগেছে। প্রতিবন্ধীরা সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ নয় এখন। একটি এক্সক্লুসিভ বেইজের জন্য মিজান ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারে না। তাই সুবিধা বঞ্চিত হিসেবে মিজানের পাশে দাঁড়িয়েছি। পুলিশ সব সময়ই জনগণের বন্ধু হিসেবে মানুষের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।##
পাঠকের মতামত: