চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী রেঞ্জের মালুমঘাটায় বনের জায়গা দখল করে চলছে ইট ও কংক্রিট বাণিজ্য।
এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বনবিটের জায়গা দখল করে চলছে ইট ও কংক্রিট বাণিজ্য। প্রভাবশালী চক্র মালুমঘাট বাজারের ভেতরে বনবিভাগের জায়গা দখল করে দিব্যি ব্যবসা চালিয়ে আসলেও বনকর্মকর্তারা পালন করছে দর্শকের ভুমিকা। বর্তমানে মালুমঘাট বাজারের ভেতরে বনবিভাগের জায়গা দখল করে অবৈধ মার্কেট নির্মাণের হিড়িক চলছে।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বনবিভাগের ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তার ভুমিকার কারনে জবরদখলের মাধ্যমে এভাবে দিনদিন বেহাত হচ্ছে বনবিটের অধীন বিপুল পরিমাণ সরকারি জায়গা। পাশাপাশি গত একবছরে বনবিটের অধিকাংশ এলাকায় জবরদখলের ঘটনা ঘটেছে অন্তত শতাধিক। এতে গড়ে উঠেছে কয়েকশত নতুন বসতি ও শতাধিক অবৈধ দোকানপাট।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা সাব্বির বিন ওয়ালী বলেন, মালুমঘাট বাজারের ভেতর বনবিভাগের জায়গা দখল করে ইট ও কংক্রিটের ব্যবসা করা হচ্ছে এ ঘটনা সত্য। কিন্তু ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে তাদের কাছ থেকে কোন ধরণের টাকা-পয়সা নেয়া হয়নি। ইতোমধ্যে ইট ও কংক্রিট ব্যবসায় জড়িতদেরকে অফিসে ডেকে এনে মালামাল গুলো সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাঁরা এ গুলো সরিয়ে না নিলে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, বাজারের ভেতরে বনবিভাগের জায়গা জবরদখলের কৌশল হিসেবে স্থানীয় চা-বাগান এলাকার মৃত মোজাহের আহমদের ছেলে আলী আহমদ, সিরাজুল হকের ছেলে আলতাজ আহমদসহ ৫-৬জনের একটি প্রভাবশালী চক্র প্রথমে সেখানে ইট ও কংক্রিট মজুদ করে ব্যবসা শুরু করেন। বনবিভাগের অবস্থা বুঝে পরে তাঁরা ওই জায়গায় রাতারাতি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করবে। প্রথম দিকে বনবিভাগের লোকজন সংশ্লিষ্টদের ডেকে নিয়ে ইট ও কংক্রিট ব্যবসা বন্ধ করতে নির্দেশ দিলেও বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা (বনবিভাগ) একেবারে নিশ্চুপ ভুমিকা পালন করছেন।
ইট ও কংক্রিট বিক্রেতা আলতাজ আহমদ বলেন, বনবিভাগের জায়গায় শুধু আমি কেন, এলাকার আরো অনেকে ব্যবসা করছেন। কেউ তো আমাদেরকে বাঁধা দেয়নি। তবে বনবিট কর্মকর্তা কিছুদিন আগে আমাদেরকে অফিসে ডেকে নিয়ে যান। তিনি আমাদেরকে ইট ও কংক্রিট সরিয়ে নিতে বলেন। পরে তার সাথে কথা বলে আমরা সময় নিয়ে এখানে ব্যবসা করছি, জায়গা তো দখল করছিনা। #
পাঠকের মতামত: