ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া বমুবিলছড়িতে প্রাণহীন এলজিইডির সেতু : দুর্ভোগে মানুষ

Lama-Bridge-Photo-1_1লামা প্রতিনিধি :

সেতু মানে দুটি এলাকার মাঝে যোগাযোগের বন্ধন তৈরি করা বা পৃথক দুই এলাকাকে এক সুতোয় গেঁথে দেওয়া। এলাকার উন্নয়নে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করে তুলতে এই সেতুর গুরুত্ব অনেক। সেতুর এক পাশে মাটি ভরাট না করার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সিটমহল খ্যাত বমুবিলছড়ির মাতামুহুরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি চার বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে ইউনিয়ন সদরের সাথে ৫ গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সেতুর ওপর মানুষের পদচারণা না থাকায় এবং মানুষের কোনো উপকারে আসতে না পারায় প্রাণহীন হয়ে পড়েছে সেতুটি। এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত সেতুটির মাটি ভরাট অসর্ম্পূণ থাকায় হাজার হাজার পথচারীদের যেমন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তেমনি ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। পাশাপাশি কৃষক তাদের ফসল নিতে পারছে না বাজারে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের মাতামুহুরী নদীর ওপর বমুরমুখ এলাকায় সেতুটি নির্মাণ করে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরে সরেজমিনে সেতুটি ঘুরে দেখা গেছে, উত্তর পাশের সংযোগ সড়ক থেকে সেতুটির উচ্চতা অন্তত প্রায় ১৫ ফুট। এতে মাটি ভরাট না করায় সেতুটির এক পাশে যাতায়াতের মতো করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এ সময় চার পাঁচ জনে মিলে টেনে হিচড়ে কোন মতে একটি রিক্সা পার করতে দেখা যায়। এমনকি যাত্রীদেরকে রিক্সা থেকে নেমে পেছন থেকে টেনে ধরতে হচ্ছে ওই রিক্সা। এ চিত্র হলো শুষ্ক মৌসুমের। বর্ষা মৌসুমে মোটেও এটি সম্ভব হবেনা বলে জানান স্থানীয়রা। আবদুস সালাম নামের এক পথচারি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এরকম সেতু থাকার চেয়ে, না থাকাই ভালো ছিল। সেতু হওয়ায় এখন যাতায়াতে আরো বেশি কষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. কফিল উদ্দিন, মোজাফ্ফর আহমদ, আবদুস সবুর, আজাদ, ফিরোজ অভিযোগ করে বলেন, গত চার বছর আগে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক ভরাটের মাটি না পাওয়ার অজুহাতে ঠিকাদার কাজ শেষ না করইে চলে যায়।

এ প্রসঙ্গে বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মতলব জানান, ওই সেতুট উত্তর পাশে এপ্রোজের কাজ না করার কারনে ১০ হাজার গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পাশাপাশি কৃষক তাদের ফসল বাজারে নিতে পারছে না।

এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহা বলেন, মাতামুহুরী নদীর বমুবিলছড়ি নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির উত্তর মাথার সংযোগ সড়কের এপ্রোজের কাজের প্রাক্কলন তৈরি করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে এপ্রোজের কাজ সম্পন্ন করা হবে।

পাঠকের মতামত: