ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া পৌরসশহরের সড়ক-মহাসড়ক অবৈধ সিএনজি-টমটমের দখলে, নেই রেজিষ্ট্রেশন-চলে পুলিশের টোকেনে

tomtনিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :::
বৈধ অবৈধ টমটম, নাছিমন, করিমন ও সিএনজি অটোরিক্সার দখলে চকরিয়া পৌরসদরের সড়ক মহাসড়ক গুলো । রেজিস্ট্রেশন নেই, অনুমোদনও নেই। চলে হাইওয়ে পুলিশের টোকেনে। বৈধ অবৈধ টমটম ও সিএনজি অটোরিক্সার দখলে এখন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহা সড়ক পথসহ গ্রামীণ অভ্যান্তরের রাস্তাঘাট। চকরিয়া পৌরসদরের রাস্তাঘাটে চলাচলকারী সিএনজির বড় একটি অংশ চলছে অবৈধ টেক্স টোকেনে। যারা এসব সিএনজি চালাচ্ছে তাদের বেশির ভাগের লাইসেন্স নেই। গুটি কয়েকটি সিএনজিতে নাম্বার লেখা থাকলেও তারও বৈধ কোন কাগজপত্র নেই।
চকরিয়ার সচেতন মহল জানান, বিভিন্ন পরিবহনের হেলপার, রিক্সাচালক, দিনমুজুর ও অপ্রাপ্ত বয়সের শিশু ও ঠেলাগাড়ির শ্রমিকরা এখন টমটম ও সিএনজি’র চালকের আসনে বসেছে। চকরিয়া পৌরসদরে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোররা মাত্র কয়েক দিনের গাড়ি চালানোর ট্রেনিং শেষে যাত্রী নিয়ে নেমে পড়ছে ব্যস্ততম সড়ক মহাসড়কে পথে। একারণে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় পড়ে হতাহত হচ্ছে নিরহ যাত্রী সাধারণ।
সংশি¬ষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানী নীতিমালার অধীনে দেশে আনা হচ্ছে প্রতিনিয়ত শত শত আটোরিক্সা (সিএনজি) ও টমটম গাড়ি। আইন অনুসারে দেশে আমদানী করা এসব গাড়ি রাস্তায় নামাতে হলে দরকার বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোট অথরটি (বিআরটিএ) এর রেজিস্ট্রেশনসহ রোড পারমিট। আমদানীকারকগণ গত কয়েক বছর থেকে নিজেদের শো-রুম থেকে প্রতিদিন নতুন গাড়ি বিক্রি করছেন। যারা এসব গাড়ি কিনে নিচ্ছেন তারা গাড়ির আগে পিছে অনটেস্ট লিখে যাত্রী পরিবহনের জন্য রাস্তায় নামাচ্ছে। এক্ষেত্রে গাড়ি মালিকরা নিতে হচ্ছে পুলিশের কাছ থেকে টোকেন।

tomtom_সূত্র মতে, বর্তমানে পৌর শহর আর গ্রামের রাস্তাঘাট দখলে নেয়া এসব আমদানী করা সিএনজি ও টমটম গাড়ি কোথায় কিভাবে চলবে সেই বিবেচনা যেমন আমদানীকারকদের নেই, তেমনি এই নিয়ে মাথা ব্যথা নেই বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের। এই অবস্থার মধ্যে ক্রেতারা নতুন গাড়ির সামনে পিছনে অনটেষ্ট সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে গাড়ি চালানো কৌশল নিয়েছে। সংশি¬ষ্ট সরকারি বেসরকারী দুটি প্রতিষ্ঠানের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে এই নিয়ে কথা বলে পৌরসদরসহ চকরিয়া উপজেলার সড়কগুলোতে বৈধ অবৈধ কত সংখ্যক সিএনজি, টমটম, নাছিমন ও করিমন গাড়ি চলাচল করছে সেই পরিসংখ্যান কারো কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

  বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বিআরটিএ এর এক কর্মকর্তা বলেন তার দপ্তরের রেকর্ড অনুসারে জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাটে নিবন্ধিত সিএনজি অটোরিক্সার প্রায় কয়েক হাজার। নতুন নিবন্ধনের আবেদন রয়েছে প্রায় হাজার খানেক। রাস্তায় অবৈধ ভাবে চলাচলকারী গাড়ীর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন অভিযান পরিচালনার মত পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সবসময় অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয় না। স্বল্প জনবল নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে অভিযানে চালিয়ে দায়িদের জেল জরিমানা করা হয়েছে। আমদানী করা প্রতিটি গাড়িকে যথাসময়ে কেন রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয় না এমন প্রশ্নের উত্তরে এই কর্মকর্তা বলেন কত গাড়ি আমদানীর করা হবে সেই বিষয়টি দেখেন বানিজ্য মন্ত্রণালয়। আর কতটি গাড়ি কোন রোর্ডে চালানোর অনুমতি প্রদান করবে তা নির্ধারণ করেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত কমিটি। সিএনজি গড়ি রেজিষ্ট্রেশন দেয়া সংক্রান্ত যে কমিটি রয়েছে সেই কমিটিতে সদস্যরা মূলত রেজিষ্ট্রেশনের বিষয়ে জানে। তাদের মধ্যে আছেন জেলা ম্যজিষ্ট্রেট, বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক ও বাস মালিক শ্রমিক গ্রুপের মহাসচিব। মূলত এই কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তানুসারে রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করা হয় সিএনজি অটোরিক্সার।

পাঠকের মতামত: