ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া পৌরশহরে যানজট ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি পুলিশ !

chakaria-pic-03-12-16মিজবাউল হক, চকরিয়া :

হাতে অস্ত্র নেই, পর্যাপ্ত ট্রেনিংও নেই, পুলিশ বা দেশের কোন বাহিনীও নয়, গায়ে শুধু ইউনিফর্ম। চিরিঙ্গা শহরে সারাদিন পৌরবাসির সেবা দেওয়াই তাদের কাজ। এই বাহিনীর নাম চকরিয়া পৌর কমিউনিটি পুলিশ। তাঁদের কাজের তত্ত্বাবধান করছেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র। সকালে পৌরসভায় হাজিরা খাতায় সই করে মেয়রের নির্দেশে ছোটেন যানজট নিয়ন্ত্রনে। ট্রাপিক পুলিশকে সাহায্য করার পাশাপাশি যানজট নিরশনে বিরাট ভূমিকাও পালন করছেন তাঁরা। তারপরও বেকার এসব বয়স্ক মানুষ, গ্রামের লোকের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যকে গায়ে না লাগিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নির্ভয়ে। তাঁরা চকরিয়া পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশ।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী পরিস্কার, পরিছন্ন ও বাসযোগ্য পৌরসভা করা এবং একটি মেগাসিটি করারও ঘোষণা দিয়েছেন। তাই চকরিয়া পৌরসভার প্রধান প্রধান সমস্যাগুলো চিহিৃত করেন তিনি। পৌরশহরকে যানজট মুক্ত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী। চকরিয়া চিরিঙ্গা সোসাইটির বড় কাচাবাজারটি সরিয়ে শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাসটার্মিনালে নেওয়া হয়। সেখানে সবজি ও মাছ বাজারের জন্য স্থায়ীভাবে একটি কিচেন মাকের্ট নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কিচেন মার্কেটটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। বর্তমানে কাচাবাজারটি বাসটার্মিনালে বসানোর কারণে অনেকটা যানজট মুক্ত হয়েছে। চকরিয়া পৌরসভার মেয়র এবার হাত দিয়েছেন পৌরশহরকে যানজট মুক্ত করার। তিনি যানজট মুক্ত করতে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিউনিটি পুলিশ গঠন করেছেন। তাদের কাজ পৌরশহরকে যানজট মুক্ত, সন্ত্রাসী, ছিনতাই সহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ রাখা। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তারা। তাদেরকে নির্দিষ্ট পোশাক, টুপি, বেল্ট ও বুট দেওয়া হয়েছে। তাদের হাতে শুধু লাঠি থাকবে। যে কোনভাবে পৌরশহরকে যানজটমুক্ত করাই তাদের কাজ।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, পৌরশহরকে যানজট মুক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন বয়সের ১৫জন মানুষ নিয়ে কমিউনিটি পুলিশ গঠন করা হয়েছে। যে কোনভাবে যানজটসহ নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মার্কেটে নারী ক্রেতারা সহজে কেনাকাটা করতে পারেন সেজন্য সার্বক্ষনিক নিরপাত্তার জন্য মাঠে থাকবে কমিউনিটি পুলিশ। ##

পাঠকের মতামত: