চকরিয়া অফিস ::
চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় তিনদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটেছে। এ অবস্থার কারনে দুই উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার এলাকার অন্তত ৪লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবারও সারাদিন ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকার কারনে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমা ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় দুই উপজেলার হাজার হাজার পরিবার পানিতে ভাসছে। পাশাপাশি নদীর পানির গতিবেগ প্রবল হওয়ার কারনে চরম ঝুঁিকর মধ্যে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেশির ভাগ বেড়িবাঁধ। ফলে দুর্গত এলাকার এসব বেড়িবাঁধ ও বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন পরির্দশন করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সবিবুর রহমান। পরির্দশনকালে উপস্থিত ছিলেন পাউবো’র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমান আলী, শাখা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, তারেক বিন সগীর, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এমপির ব্যক্তিগত সহকারি নাজিম উদ্দিন।
দুর্গত এলাকা পরির্দশন শেষে হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ সাংবাদিকদের বলেন, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটেছে। হাজার হাজার পরিবার পানিতে ভাসছে। বসতঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ পরিবার রান্নাঘরে আগুন দিতে পারছেনা। এ অবস্থায় দুর্গত জনপদের মানুষ না খেয়ে অনাহারে মানবেতর দিনযাপন করছে। এমপি ইলিয়াছ জরুরী ভিত্তিতে দুর্গত মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষনার দাবি জানিয়েছেন।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সবিবুর রহমান বলেন, তিনদিনের টানা ভারী বর্ষণ এবং মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারনে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার বেশির ভাগ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে নদীর পানি প্রবাহের গতিবেগ প্রবল হওয়ায় দুই উপজেলার একাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁিকর মধ্যে রয়েছে। তবে বন্যার পানি না নামা পর্যন্ত বেড়িবাঁেধর কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছেনা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা দুর্গত এলাকায় সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রয়েছে।
পাঠকের মতামত: