সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রতিনিধি, কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী রাজঘাট পাড়া গ্রামের দেড় কি:মি: কাঁচা রাস্তাটি বর্ষা মৌসুম আসলেই মানুষের হাটাঁ চলাচলাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে অনপুযোগী হয়ে পড়ে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৩/৪টি গ্রামের লোকজনসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ রাস্তাটি বর্ষাকাল আসলেই আজিম পাড়া, চরপাড়া, গাইট্যাখালী, রাজঘাট গ্রামবাসীরা যাতায়াত করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এ গ্রামগুলোর পাশে রয়েছে মৎস্য ঘের-লবণ মাঠ। মৎস্য-লবণ চাষীদের এই কাচাঁ রাস্তাাটি ব্যবহার করতে হয়। এ ছাড়াও রাস্তার পাশে রয়েছে প্রাথমিক স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ বাড়িঘর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাইট্যখালী থেকে রাজঘাট পর্যন্ত একটু বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাটু সমান কাদাঁয় ভরে থাকে। কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট গর্ত হয়ে গেছে। যানবাহন চলাচল দুরের কথা এলাকার পথচারীরা চলাচল করতে পারে না। যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে বিগত ২ বছর ধরে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, একটু বৃষ্টি হলে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসতে চায় না। বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার শিক্ষাথীরা বেশীর ভাগ অনুপস্থিত থাকে।
মৎস্য ঘের চাষীরা বলেন, আমরা অনেক বছর এই রাস্তাাটি দিয়ে কষ্ট করে চলাচল করে আসছি, বুড়ো বয়সেও কষ্ট করতে হয় এই কাঁচা রাস্তাটির জন্য।
গোমাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ ও শাহিন বলেন, আমরা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারিনা এই রাস্তাটির জন্য। এই রাস্তাটি হলে আমাদের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ভাল হয়।
স্থানীয় এমইউপি মাহমুদুল হক বলেন, রাস্তাটির বেহাল অবস্থা দেখেছি। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথাও হয়েছে। খুব শীগ্রই রাস্তাটির কাজ শুরু হবে আশা করি।
সদর উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ বলেন, স্থানীয় এমপিকে আমি দেড় বছর আগেই বলেছি এই রাস্তাটি করে দেয়ার জন্য।
পাঠকের মতামত: