সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :::
কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীতে ঘূর্ণিঝড় মোরায় আক্রান্তের পর থেকে সপ্তাহেরও বেশী সময় ধরে ওই এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ভেঙ্গে ও হেলে পড়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি, ছিঁড়ে গেছে সঞ্চালন লাইনের তার। পুরো এলাকা বর্তমানে অন্ধকারে নিমজ্জিত। বিগত ১ সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড় মোরায় লন্ডভন্ড হয়ে যায় ওই ইউনিয়নের গোমাতলীর বিশাল অংশ। বিশেষ করে গোমাতলী ও রাজঘাট গ্রামের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে। গোমাতলীতে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাধ দিয়ে দিনরাত সাগরের লোনা পানি অনুপ্রবেশ করার কারণে কয়েক’শ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বসত ঘরে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় বহু পরিবারের এই রমজানে উনুন জ্বালাতেও কষ্ট হচ্ছে। মোরায় ক্ষতিগ্রস্থরা সরকারী সাহায্যের আশায় দিনের পর দিন তীর্থের কাকের মত চেয়ে থাকলেও সরকারী কোন ত্রাণতো দূরের কথা দূর্গতদের খবর নিতেও আসেননি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোরা’র তান্ডবে ইউনিয়নের গোমাতলী ও রাজঘাটে বিদ্যুৎ সংযোগ ৮দিন পরও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জরুরী তত্ত্বাবধানে এ জনদুর্ভোগ নিরসনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে আসলেও মাঠ পর্যায়ের ঘুষ বানিজ্যে অতিষ্ঠ সাধারণ গ্রাহক। কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঘুষ বানিজ্যে পল্লী বিদ্যুৎ নামটি এখন সাধারণ মানুষের কাছে বিষ ফোঁড়া। ঘূর্ণিঝড় দুর্যোগের ৮দিন পরেও বিদ্যুতের আলো দেখেনি গোমাতলী রাজঘাট গ্রামের সর্বাধিক গ্রাহক। টাকা দিলে সংযোগ সংস্কার মিলে অন্যতায় আশ্বাসের বুলি দিয়ে পার করে দিচ্ছে দিনের পর দিন এমনই অভিযোগ গ্রাহকের। কিন্তু টাকা দেয়া হবে জানালে রাত-দিনে খেটে অনায়াসে সমস্যা সমাধান করে দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বরতরা। ঘুর্ণিঝড় তান্ডবে অধিক সংখ্যক সংযোগ বিচ্ছন্ন হওয়ায় হয়তো এ সুবিধা নিচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম জানায়, বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত কাজে লোকবল কম বলে চিটাগাং থেকেও লোক পাঠিয়েছে। তারা প্রধান সংযোগ সংস্কারে নিয়োজিত রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোরা’য় বেশকিছু বিদ্যুৎ খুটি ভেঙ্গে পড়েছে। এ গুলো পুরোপুরি ঠিক হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।
পাঠকের মতামত: