ঢাকা,সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে ২লাখ পর্যটক বরণে প্রস্তুত চার শতাধিক হোটেল মোটেল, ৯দিনের ছুটির ফাঁদে দেশবাসি

coxsbazar-sea-beach-3_1এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার,২৬ জুন ॥

প্রতিবছর ঈদে এলে একটি লম্বা ছুঠি মেলে। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯দিন ছুঠির ফাঁদে পড়ছে পুরো দেশবাসি। আর কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্ব বৃহৎ উৎসব এটি।

ঈদকে সামনে নিয়ে নতুন সাজে সেজেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। হোটেল মোটেল গুলোর রং পাল্টানো সহ নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। এ ছুটিকে কেন্দ্র করে ঈদের আগে-পরে কক্সবাজারে আসেন লাখো পর্যটক। অন্যবারের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় হবে- এমন আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পর্যটন স্পটগুলো ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সাজানো হচ্ছে নানা আকর্ষণীয় সাজে। নতুন আসবাবপত্র দিয়ে হোটেল-মোটেল সাজানো হচ্ছে। দেয়ালের পুরনো আস্তরণ তুলে লাগানো হচ্ছে প্লাস্টিক পেইন্ট কিংবা ডিসটেমপার।

রেস্তোরাঁগুলোতেও চলছে ধোয়ামুছা ও রঙ লাগানোর কাজ। প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

পর্যটকদের সাদরে বরণ করার জন্য প্রস্তুত ৪ শতাধিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস সহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ছুঠিতে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক আগমন ঘটে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। তিল ধারণের ক্শমতা থাকে না কোথাও। এবার তার ব্যতিক্রম হবে না। সে সুযোগে গলাকাটা বাণিজ্যও করেন অসাধু ব্যবসায়িরা।

প্রতিবছর ঈদে এলে একটি লম্বা ছুটি মেলে। কিন্তু এ বছরের মতো টানা ৯দিন ছুঠি খুব কমই হয়েছে ইতোপূবে। এ ছুঠিকে লক্ষ্য করে ঈদের আগে-পরে কক্সবাজারে অন্তত ২ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে এমনটাই আশা করছেন পযটন সংশ্লিষ্টরা।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দেয়ার প্রস্তুতিতেও নেয়া হয়েছে। ৭ জুলাই ঈদুল ফিতর হতে পারে। ঈদকে কেন্দ্র করে ৯ দিনের ছুটি পড়বে। এই ছুটিতে কক্সবাজারে ব্যাপক সংখ্যক পর্যটক আসবেন, এমনটিই আশা করছেন হোটেল-মোটেল-মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

হোটেল ব্যবসায়ি বেদারুল আলম জানান, অতীতের বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতিবছর ঈদের ছুটিসহ নানা ছুটিতে ব্যাপক সংখ্যক পর্যটকের ভিড় করে কক্সবাজারে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় হোটেল মোটেলের রুম অগ্রিম বুকিং হচ্ছে ও হয়েছে। একই সঙ্গে সাজ-সজ্জার কাজও শেষ করা হয়েছে।

আরেক হোটেল ব্যবসায়ি সরওয়ার আলম জানান, হোটেলের পক্ষ থেকে সব প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ৩১ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত হোটেলের প্রায় রুম বুকিং হয়ে গেছে। আর কোনো বুকিং নেয়া হচ্ছে না।

এছাড়া কক্সবাজারের পর্যটন স্পট মহেশখালী, হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়ানগর, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো সাজছে নতুন ভাবে।

কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেটগুলোতে নানা রকমের বাহারি বার্মিজ পণ্যের সমাহার নিয়ে দোকানিরা বসে আছেন পর্যটকদের আগমনের অপেক্ষায়।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, ঈদের পরে পর্যটক আগমনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে হোটেল ও গেস্ট হাউস ও কটেজ সব প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এখন শুধু পর্যটকদের স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।

তিনি আরো বলেন, যদি টানা বৃষ্টিপাত কিংবা প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম কোন ধরনের দুযোগ না হয় তাহলে কক্সবাজারে প্রায় ২ লাধিক পর্যটকের আগমন ঘটবে।

ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস ও কটেজগুলোর রুম বুকিং চলছে। অনেকের প্রায় বুকিং হয়েও গেছে। ঈদের ছুঠিতে পর্যটক আসবে। পর্যটন শিল্পে ফিরে আসবে প্রাণ চাঞ্চল্য। এমনটাই আশা করছেন তিনি।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের একটি জানিয়েছেন, পর্যটক হয়রানি বন্ধে হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁয় মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর নির্দেশসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পর্যটক হয়রানি বন্ধে জেলা প্রশাসন নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সজাগ থাকবে। পর্যটন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারী বাড়ানো হবে।

সুত্রটি বলেন, জেলা পুলিশ থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশ আলাদা করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ৮২ জন ফোর্স ট্যুরিস্ট পুলিশের আওতায় আনা হয়েছে। তাই পর্যটকরা নিরাপদে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে পারবেন।

——————

পাঠকের মতামত: