ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার সার্টিফিকেট আদালতের মামলা গতিহীন, কাগজে-কলমে পলাতক, আসামী ঘুরছে প্রকাশ্যে

mamla.ইমাম খাইর, কক্সবাজার ::

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সার্টিফিকেট আদালতের মামলার কোন গতি নেই। একটি মামলা ৩ যুগেরও বেশী সময় ধরে চলছে-এমন মামলাও রয়েছে। নিস্পত্তি তো হচ্ছেনা, অধিকন্তু দিন দিন জট বাঁধছে সার্টিফিকেট মামলার। এসব মামলার আসামী ধরতে অনীহা রয়েছে পুলিশের।

তবে, পুলিশের ভাষ্য- সঠিক তথ্য প্রমাণ ও ওয়ারেন্ট কপি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন আসামীকে ছাড় দেয়া হবেনা।

অভিযোগ রয়েছে, সার্টিফিকেট মামলায় ওয়ারেন্ট জারি হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করেনা। অধিকাংশ আসামী কাগজে-কলমে ‘পলাতক’ কিন্ত ঘুরছে সবাই প্রকাশ্যে। নেয়া হয়না কোন এ্যাকশান। ফলে এসব মামলায় সরকারের যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, ঠিক তেমনি অর্থ অপচয়ও হচ্ছে। আদায় হচ্ছেনা খেলাপী ব্যক্তিদের কর।

সংশ্লিষ্ট শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৪ সাল থেকে চলছে এমন সার্টিফিকেট মামলাও রয়েছে। মিছিলের পর মিছিল গেলেও আসামীরা রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ওয়ারেন্ট জারী করলেও কার্যকারীতা নেই। উল্টো পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে চলেন আসামীরা- এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

এদিকে ১৯১৩ সালের পিডিআর আইনের ২৯ ধারামতে সার্টিফিকেট খাতক হিসেবে সম্প্রতি ১৫ টি সার্টিফিকেট মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে জেনারেল সার্টিফিকেট আদালত। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এসব আসামীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানাতে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট আদালত

জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের যথাযথ সহায়তা পেলে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। আদায় হবে সরকারী রাজস্ব। এ জন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

থানায় ওয়ারেন্ট কপি পৌঁছানোর পরও আসামীদের গ্রেফতারে গাফিলতির অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন জানান, ওয়ারেন্ট কপি আমাদের কাছে পৌঁছানো হলে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামীদের ব্যাপারে কোন আপষ নেই।

জেনারেল সার্টিফিকেট আদালতের কার্যক্রম ঃ

দেওয়ানী আদালতের মাধ্যমে সরকারি পাওনা আদায়ে দীর্ঘসূত্রীতা, অর্থ অপচয় রোধ এবং সহজে ও অল্পসময়ে সরকারি পাওনা আদায়ের নিমিত্ত সর্বোপরি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে এ শাখার কার্যক্রম সরকারি দাবি আদায় আইন ১৯১৩ (১৯১৩ সনের ব্যাঙ্গল এ্যাক্ট নং-৩) দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।

নাগরিক সেবা ঃ

তফসীল ব্যাংক কর্তৃক অনাদায়ী ঋণ আদায়ের জন্য সার্টিফিকেট অনুরোধের ভিত্তিত্বে মামলা রম্নজু করণ।
আধা-সরকারি অফিস স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা কর্তৃক অনাদায়ী ঋণ আদায়ের জন্য দায়েরকৃত সার্টিফিকেট মামলার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
অনাদায়ী ঋণ আদায়ের লক্ষ্য সংশ্লিষ্ট দায়িকের প্রতি পদ্ধতিগতভাবে নোটিশ/গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে ঋণ আদায়ের পদ্ধতি গ্রহণ করা।
অনাদায়ী ঋণ আদায় হলে তা সংশিস্নষ্ট সংস্থাকে অবহিত করা।
কোন সরকারি পাওনা আদায় না হলে পদ্ধতিগতভাবে সার্টিফিকেট মামলা রম্নজু করে আদায়ের ব্যবস্থা করা।

 

পাঠকের মতামত: