ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার :::
কক্সবাজার জেলা পার্সপোট অফিসে উপক্ষিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা। এখানে থেমে নেই দালাল চক্রের প্রতারণা। সাধারণ মানুষদের হয়রাণী ও জিম্মি করে টাকা আদায়ের মহোৎসব চলছে। পুরাতন পাসপোর্ট দালালদের সাথে নতুন নতুন দালাল ও মৌসুমী দালাদের আবির্ভাব ঘটেছে।
চলতি বছরের শুরুতে কক্সবাজারে জেলার পাসপোর্ট অফিস নতুন ভবনে স্থানান্তর হয়। এই অফিসে কার্যক্রম শুরু হওয়া সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন ও নতুন দালাল গোষ্টি সক্রিয় হয়ে পড়েছে। দালাল কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মিথ্যা বিভিন্ন অজুহাত দিখিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নারী, বৃদ্ধ ও গ্রামের মানুষদের নানাভাবে হয়রাণির শিকার করছে এই দালাল চক্র।
সরকারী বিবরণমতে, বাংলাদেশের যেকোন নাগরিক নির্ধারিত ফি ব্যাংক ড্রাপট করে জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মসনদ, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, ২কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ নিদিষ্ট ফরম পুরণ করে পার্সপোর্ট অফিসে জমাদিয়ে আবেদন করতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় পাসপোর্ট অফিসের চরম অসহযোগিতা এবং দালালচক্রের সক্রিয় অবস্থানের কারণে অধিকাংশ সাধারণ মানুষের ফরম জমানেয় না। কারণে অকারণে এবং অযুক্তিকভাবে সেসব আবেদনপত্রে লালকালির চিহ্ন দিয়ে আবেদন পত্রগুলো বাতিল করে দেন। পাসপোর্ট দালালরা ওই একই কাটাছেড়া ফরম জমাদিয়ে ছবি ও ফিঙ্গার নিয়ে নেন। এ যেন আলাউদ্দিনের আশ্চর্য চেরাগ। দালালরা একটু ঘষা দিলেই সবসমস্যা সমাধান হয়ে যায়।
সত্যায়িত করার সীল, জন্মনিবন্ধন ফরম, চেয়ারম্যান সনদসহ যাবতীয় জালকাগজপত্রের সবকিছই রয়েছে দালালদের হাতে প্রয়োজন শুধু টাকা। দালালরা সংঘবদ্ধভাবে প্রকাশ্যে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে নেমে আসে লাঞ্চনা।
সূত্র জানায়, দালালরা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা এবং জরুরী পাসপোর্টের জন্য ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা আদায় করে।
দালাল চক্রের রয়েছে সমিতি, শহরের বহুতল ভবনে বিলাস বহুল অফিস। তাদের এই সৌখিনতা আর আরাম আয়েশের চাহিদা ও মিটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
পাঠকের মতামত: