শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥
ঈদের পর থেকে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ছাড়া বিনোদনে নতুন কোন মাত্রাযোগ না হওয়ায় প্রায় পর্যটক শূন্য কক্সবাজার। ক্ষতি পোশাতে না পেরে হোটেল, মোটেল ও গেষ্ট হাউস গুলোতে চলছে কর্মী ছাটাঁই। ঘনঘন প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও রৈরী আবহাওয়ায় পর্যটক না আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টে শামুক ঝিনুকের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন সুফি বলেন, পর্যটক না থাকায় আমাদেরকে লোকশান গুনতে হচ্ছে। তার মত আরো সৈকত কেন্দ্রিক বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত শতশত পরিবারের জীবিকাও পর্যটকের অভাবে বন্ধ হয়ে আছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও ভ্রাম্যমান ক্যামেরাম্যান, বীচ বাইক চালক, স্পীডবোর্ড চালক, শামুক ঝিনুকের কারিগরসহ আরো সৈকত কেন্দ্রিক নানা জীবিকার মানুষ পার করছে অলস জীবনযাপন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাছির উদ্দিন লাল্টু বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় শুধু পর্যটক নয়, স্থানীয় লোকজনও আসছেনা। এ জন্যে আমাদেরকে এখন বসে থাকতে হচ্ছে।
তবে বর্ষায় উত্তাল সাগর দেখতে আসা হাতে গোনা দুই-একজন পর্যটক পাওয়া গেলে তারা বলছেন, একেক মৌসুমে সাগর দেখতে একেক রকম মজা। সৈকতসহ কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানগুলোর যথাযথ প্রচারণার অভাবে এখানে পর্যটক আসছেনা।
একজন পর্যটক জানালেন, এখানে যদি আমাদের ঐতিহ্যগুলো তুলে ধরার মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা যায়, ভলোভাবে প্রচারণা করা যায় তবে পর্যটক আগমন বাড়বে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, পর্যটকের জন্যে এখন তাদের আসছে কুরবানীর ঈদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ততোদিনে ঘাড়ে পরবে শতকোটি টাকার লোকশান।
তিনি বলেন, প্রতিদিন লোকসান হওয়ায় অনেক হোটেল মোটেল ও গেষ্ট হাউসগুলোতে কর্মরত অনেক শ্রমিক ছাঁটায় করতে হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: