কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় এক শিশু নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাজইম্মার রাস্তার মাথা নামক এলাকায় চারপোকা গাড়ির চাপায় ১ শিশু নিহত হয়। একই দিন বেলা ২ টার দিকে উখিয়া নিউ ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় যাত্রীবাহি বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে দূর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকাল ৫টার দিকে উখিয়া মূখী একটি দ্রুত গতির মিনি হিউম্যান হলার (স্থানীয় ভাষায় ছারপোকা) রাস্তা পারাপারের সময় মুহাম্মদ ইয়াছিন (১০) নামের এক শিশুকে চাপাদেয়। এতে সে ঘটনা স্থলে মারা যায়। ইয়াছিন স্থানীয় হাজিম্মার রাস্তার মাথা এলাকার আবদু শুক্কুরের ছেলে। নিহত শিশু কুতুপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝুমঝুম নাহার জানিয়েছেন। অপরদিকে, বেলা ২ টায় উখিয়া নিউ ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় টেকনাফ থেকে কক্সবাজার গামী যাত্রীবাহী ¯েপশাল সার্ভিসের একটি বাসের সাথে টেকনাফ মুখী ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষ লাগে। এতে কলেজ শিক্ষকসহ ২০ জন আহত হন। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত কয়েকজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মাঝে উখিয়া কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক অলক দাশ (৪৫), সমাজ বিজ্ঞানের প্রভাষক কামরুন নাহার কাজল (৪৮), রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান মুহাম্মদ আলী (৫২), ইসলাম শিক্ষার প্রভাষক নুরুল হক (৩৮), রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রভাষক ফরিদুল আলম (৩২)’র নাম জানা গেছে। বাকিদের নাম তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি গুলো জব্দ করা হয়েছে।
#################
উখিয়ায় অবশেষে অপহরণ নাটকের নায়িকা মুন্নি উদ্ধার
উখিয়া প্রতিনিধি :::
উখিয়া হাজাম রাস্তার মাথা গ্রামের খাইরুল হক সওদাগরের বিবাহিতা কন্যা বেলাল উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী অপহরণ মামলা নাটকের নায়িকা ও বহুল আলোচিত হিমা সুলতানা মুন্নীকে (১৪) বিজ্ঞ আদালত পুলিশ হেফাজতে প্রেরণ করেছে। গত ১৩ জুন রাত ১০ টায় মুন্নীকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে মুন্নীর মা লুৎফুর নাহার বেগম বাদী হয়ে গত ১৯ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিরাপদ ৮ জন ব্যক্তিকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় পুলিশ মুন্নীর স্বামী বেলাল উদ্দিনকে আটক করলেও পুলিশ বলছে তার বিরুদ্ধে আরো মামলা আছে।
দীর্ঘ ৬৯ দিন পর গত রবিবার সকাল ১০ টায় উখিয়া থানা পুলিশ গোপন সূত্রের সংবাদের ভিত্তিতে ফলিয়াপাড়া থেকে মুন্নীকে উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করেন। পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হিমা সুলতানা মুন্নী অকপটে স্বীকার করে বলেন, তাকে তার মা লুৎফুর নাহার ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্য মূলক ভাবে লুকিয়ে রেখে প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছে। গত ২৮ জুন মুন্নীকে আদালতে হাজির করা হলে মুন্নি তার বয়স ১৮ দাবী করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নিদের্শ দেন।
অপহরণ মামলার আসামী দানু মিয়া ও মোহাম্মদ আলী জানান, তাদেরকে অহেতুক মিথ্যা মামলায় জড়ানোর কারণে এলাকায় তাদের ভাবমূর্তি ও বংশ মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। উক্ত অপহরণ মামলায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করে মামলার আসামীদ্বয় কক্সবাজার পুলিশ সুপারের নিকট একটি অভিযোগ করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মশিউর রহমান জানান, মুন্নিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: