ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

উখিয়ায় কোরআন শরীফ বিতরন করলেন ইউএনও

Omar Faruk News Ukhiya 22-03-2016 (2)ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::
উখিয়ায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে শিক্ষার্থীদের মাঝে ৭৫ টি পবিত্র কোরআন শরিফ বিতরন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ কোরআন বিতরন অনুষ্টিত হয়। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন শরীফ বিতরন করেন এবং তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ ইসলামীক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্টা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামীক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। উক্ত সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আলী হোসেন খান, মৌঃ মোঃ জাফর আলম, ইসলামীক ফাউন্ডেশনের কেয়ারটেকার মৌঃ মাহবুবু আলম, ইসলামীক ফাউন্ডেশনের শিক্ষক মোঃ আব্দুল হক, মৌঃ মোঃ ঈদ্রিস প্রমূখ। ওই সময় উপজেলা ইসলামীক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উখিয়ায় পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।
##############
সরকারি ও এনজিও চিকিৎসকদের মধ্যে বিরোধ উখিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়েছে
ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::
সরকারি ও এনজিও নিয়োগকৃত চিকিৎসকদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে উখিয়া হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়েছে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কর্তৃক সংস্কারের নামে দায়সারা উন্নয়ন কর্মকান্ডের ঘ্যাড়াকলে পড়ে শত শত ডায়রিয়া শিশু রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বললেন, এনজিও চিকিৎসকেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আদেশ, নির্দেশ ও পরামর্শের তোয়াক্কা না করায় এমনাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে সংস্কারের নামে এলোপাতাড়ী কুড়াকুড়ি ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে। যে কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ও মহিলা রোগীদের রাখা হয়েছে হাসপাতালের বারান্দায়। ৭ মাসের শিশু সামিয়াকে কোলে নিয়ে উৎকণ্ঠায় মা সাহারা বেগম জানায়, একেতো বিরূপ পরিবেশ, অপরদিকে খাবার স্যালাইন ছাড়া কোন ঔষুধ নাই। পাশের সিটের অভিভাবিকা সুফিয়া বেগম জানান, ৭ মাসের শিশু ইরফানকে নিয়ে ৩ দিন ধরে বারান্দায় অবস্থান করছেন, রোগীর কোন অগ্রগতি হয়নি। দায়িত্বরত রেড ক্রিসেন্টের নার্স রুবি আক্তার জানায়, ৭০ জন শিশু রোগী ভর্তি আছে। মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে সংস্কার কাজ চলার কারণে বারান্দায় রাখা হয়েছে। ডায়রিয়া রোগের ঔষুধ আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে ওই নার্স জানায়, খাবার স্যালাইন ছাড়া কোন ঔষুধ নাই। নার্স, রোগী অভিযোগ করে জানায়, সরকারি ও আইএমও’র নিয়োগকৃত নার্সরা তাদের ইচ্ছামতো দায়িত্ব পালন করায়, রোগীরা যথাযথ সেবা পাচ্ছে না।
রেড ক্রিসেন্ট নিয়োগকৃত চিকিৎসক ডাঃ এনাম জানায়, তিনি সকালের দিকে রোগী দেখেন। এর বাইরে তার রোগী দেখার বাধ্যবাধকতা নাই। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রবিউর রহমান রবি জানায়, আইএমও’র নিয়োগকৃত চিকিৎসকরা স্থানীয়দের চাইতে রোহিঙ্গা রোগীদের অধিকতর গুরুত্ব দেওয়ায় স্থানীয় রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। অন্যদিকে তারা কর্তৃপক্ষের আদেশ, নির্দেশের তোয়াক্কা না করায় হাসপাতালের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী জানান, আইএমও’র তত্ত্বাবধানে যেভাবে রোহিঙ্গারা হাসপাতালের এসে প্রভাব বিস্তার করছে, তাতে এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা সহ অন্যান্য কর্মকান্ড নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মাবুদ জানান, রেড ক্রিসেন্টের ঠিকাদার ইচ্ছামতো সংস্কার কাজ করায় রোগীদের বারান্দায় স্থান দিতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এনজিও’র চিকিৎসক, নার্সরা কোন আদেশ, নির্দেশ মানছে না। তাদের যা খুশি তাই করছে। তিনি এ ব্যাপারে সংসদ সদস্যের নিকট বিষয়টি অভিহিত করার জন্য হাসপাতাল কমিটির সভা আহ্বান করার আশ্বস্থ করলেন।

পাঠকের মতামত: