বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজার সদরের ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালের ৩৮ জন শিক্ষার্থীর জেএসসি’র ফরম পূরণ করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মডেল টেস্টে ফেল, কোচিং ও প্রাইভেটে অনুপস্থিতিসহ নানা অজুহাতে ওই শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করেনি বলে অভিযোগ করেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের অভিভাববৃন্দ।
অভিযোগ মতে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রামের অধীনে বিলম্ব ফি ছাড়া ৯ আগস্ট এবং বিলম্ব ফিসহ ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ফরম পূরণের নির্ধারিত সময় ছিল। ফরম পূরণ বঞ্চিত শিক্ষার্থী নুর এ ফাহিমের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নুরুল আলম জানান, বঞ্চিত অভিভাবকবৃন্দ অনেক অনুনয় বিনয় করলেও ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তথ্য মতে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তিকৃত সবাইকে কোন ধরনের টেস্ট পরীক্ষা ছাড়াই জেএসসি’র ফরম পূরণের সুযোগ দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, শতভাগ পাশের জন্য প্রধান শিক্ষকের উচ্চাবিলাস এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের একগুয়েমী ও দূর্ব্যবহারের কারণে তাদের শিক্ষা জীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
অভিভাবক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নুরুল আলম বলেন, তার ছেলের ফরম পূরণের বিষয়ে আলাপ করতে প্রধান শিক্ষকের খোঁজ না পেয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের দ্বারস্থ হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষক বর্তমানে সুইডেন অবস্থান করছেন এবং তিনি ফেল করা শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ না করার নির্দেশ দিয়ে গেছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সহকারী প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন যোগদানের পর থেকে সহকর্মীদের সাথে মত বিরোধ, শিক্ষার্থীদের সাথে দূর্ব্যবহার, কোচিং ও প্রাইভেটে বাধ্যবাদকতাসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বিঘিœত হচ্ছে সুশিক্ষার পরিবেশ।
ফরম পূরণ বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের জেদ এবং স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তারা ফরম পূরণের সুযোগ পাচ্ছেনা। বঞ্চিত শিক্ষার্থীদেরকে ফরম পূরণের সুযোগদানের জন্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সহকারী প্রধান শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তিনি মডেল টেস্টে ফেল করা শিক্ষার্থীদেরকে ফরম পূরণের সুযোগ দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জন্নাতের মোবাইলে কল দেওয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিভাবক কর্তৃক লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
পাঠকের মতামত: