শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :::
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সড়কে অবৈধ খাস জমির উপর নির্মিত পূর্বানী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের তেহেরী খেয়ে ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থী ও হোস্টেলে অবস্থানরত অর্ধ শতাধিক ছাত্র গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ২ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে খবর পেয়ে অসুস্থ ছাত্রদের দেখতে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে হোস্টেলের ছাত্ররা ক্ষুদ্র আয়োজন করে। এ আয়োজনে প্রত্যেক ছাত্রদের জন্য একটি করে সর্বমোট ৬৫টি বিরানীর প্যাকেট উক্ত হোটেলে অর্ডার দেয়। এদিন তারা আনন্দপূর্তি করে পরদিন সবাই একেক করে অসুস্থতা বোধ করলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। কিছুক্ষণ পরপরই অর্ধশতাধিক ছাত্রকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পাশর্^বর্তী ডায়াবেটিস কেয়ার এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাটি চাউর হলে হোটেল মালিক বাবু উত্তম রায় পূলক ধামাচাপা দিতে মোটা অংক নিয়ে মাঠে নামে। মুহুর্তের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেনের নজরে আসলে দ্রুত ঐ হাসপাতালে ছুটে আসেন। অসুস্থ ছাত্রদের বক্তব্য শ্রবণ করে অভিযুক্ত হোটেলে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেন এবং ঘটনাটি তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি টীম গঠণ করা হবে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান ইউএনও। এসময় ইউএনওকে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরী, ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন।
অসুস্থ ছাত্র মুবিন, মোবারক, আয়মন, ফায়সালসহ অনেকে বলে, দীর্ঘদিন ঐ হোটেল থেকে আমরা খাওয়া দাওয়া করে আসছি। সে সুবাদে ৩১ ডিসেম্বর ৬৫টি বিরানীর প্যাকেটের অর্ডার দিই। সরলতার সুযোগে হোটেল কর্তৃপক্ষ বাসি বিরানী সরবরাহ করে। এগুলো খেয়ে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ি।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে উক্ত হোটেলে পঁচা-বাসি, অপরিস্কার খাবার পরিবেশন করে আসছিল। বেশ কয়েকদিন আগেও সদর ইউএনও এ হোটেলে জরিমানা করেছিল। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর পুরো ঈদগাঁওবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সাথে যোগাযোগ করা হলে মূলত বিষয়টি অনাকাঙ্খিত, তারপরও আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। হোটেল মালিক উত্তম রায় পুলকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে উক্ত হোটেলে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেনকে অভিনন্দন জানিয়েছে বৃহত্তর ঈদগাঁওর হাজার হাজার লোকজন।
পাঠকের মতামত: