ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওতে এক ডেভেলপার কোম্পানীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

মো. রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার

ঈদগাঁওতে এক ডেভেলপার কোম্পানীর বিরুদ্ধে বিশ^াসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগী তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণও শুরু করেছেন। কোম্পানীর মালিকের কারণে ভূক্তভোগীর আনুমানিক ৩৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, বৃহত্তর ঈদগাঁওর সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী ঈদগাঁও বাজারের দক্ষিণ পাশর্^স্থ তার মালিকানাধীন জমিতে বহুতল বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন এপার্টমেন্ট নির্মাণের জন্য একটি ডেভেলপার কোম্পানীর সাথে গত ১০/৪/১৪ ইং চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন। ডেভেলপার কোম্পানীর নাম হচ্ছে ইমপাল্স প্রপার্টিজ লিমিটেড যার চেয়ারম্যান মোঃ হাজী সেলিম উল্লাহ। কোম্পানীটির বর্তমান ঠিকানা হচ্ছে চট্টগ্রাম শহরের খুলশী আবাসিক এলাকার ১ নং রোডের ১৬ নং হাউজে। কক্সবাজার সদর সাব রেজিঃ অফিসে এ দু’পক্ষের মধ্যে রেজিষ্ট্রিযুক্ত ১৩৯৬ নং চুক্তিনামাটি সম্পাদিত হয়। যাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, চুক্তিপত্র সম্পাদনের তারিখ হতে পরবর্তী ৩৬ মাসের মধ্যে তফশীলোক্ত জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ শেষ করে মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু ডেভেলপার কোম্পানীটি যথাসময়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ বহুতল ভবন তৈরির জন্য উক্ত কোম্পানীর তত্ত্বাবধানে আগে থেকে নির্মিত শাহজাহান চৌধুরীর মালিকানাধীন ১১ কক্ষ বিশিষ্ট ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। যার ১ম তলায় চৌধুরী ট্রেডার্স নামে একটি মুদির দোকান এবং ২য় তলায় আল নিজাম বোর্ডিং নামে একটি আবাসিক হোটেল ছিল। জমির মালিকের অভিযোগ, বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ আরম্ভ করার কথা বলে তার ও তার প্রদত্ত দোকানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলে ৩৩ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি সাধন করেছেন এবং ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে প্রাপ্ত মাসিক ভাড়া হতে তাকে বঞ্চিত করেছেন। এহেন অপরাধের কারণে তিনি উক্ত ডেভেলপার কোম্পানীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন। এদিকে উক্ত চুক্তিপত্রের পর কোম্পানীর পক্ষ হয়ে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী তাকে আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি ৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেছিলেন তখন। যার নং -০২০২২০২৫৭। তিনি উক্ত চেকটি নিয়ে গত এক মাস আগেসহ এ সাড়ে ৩ বছরে ৪/৫ বার ব্যাংকে গিয়েও পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। চেক দাতা চুক্তিপত্রের ১নং সাক্ষীও। এ ব্যাপারে আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার এভিপি এবং হেড অব ক্রেডিট মোঃ ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে টাকা না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে তিনি অনেকবার এসেও টাকা তুলতে পারেননি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তার চেকটি ডিজঅনারও করা হয়েছে। এদিকে জমির মালিক শাহজাহান চৌধুরীর প্রশ্ন তিনি কবে তার এ ক্ষতির টাকা বুঝে পাবেন। তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইমপালস প্রপাট্র্জি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ হাজী সেলিম উল্লাহর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: