সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :::
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও নদীর উপর নির্মিত বাশঁঘাটা ঝুলন্ত ব্রীজ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। গেল বর্ষার ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ব্রীজটি মধ্যখান থেকে প্রায় ২৫ গজের মত নদীতে বিলীন হয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপারের জন্য নির্মাণ করা হলেও পুনরায় ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ভেসে যায়। আবারো স্থানীয় ব্যবসায়ীদের স্ব-উদ্যোগে নির্মিত কাঠের ঝুলন্ত সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ৩ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক বাসিন্দা।
শুক্রবার সরেজমিন দেখা গেছে, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ঝুলন্ত ব্রীজটির মধ্য অংশ দেবে গেছে। এ অংশে প্রবাহিত হচ্ছে নদীর পানি। নড়বড়ে এই কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে স্থানীয় লোকজন। স্থানীয়রা জানান, ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকো দিয়ে লোকজন পারাপার করলেও ব্রীজ নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই। এতে গত ১বছর ধরে ইসলামাবাদ, ইসলামপুর ও পোকখালী সড়কে চলাচলরত ছোট খাট যানবাহন বন্ধ রয়েছে।
ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক জানান, যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ বন্দী জীবন কাটাচ্ছে। প্রয়োজনীয় পণ্য আনা-নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন কার্যক্রম। স্থানীয় কৃষকরা উৎপাদিত শাক-সবজির ন্যায্য মুল্য পাচ্ছেনা।
ইসলামাবাদ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড মেম্বার দিদারুল ইসলাম বলেন, যে কোন সময় কাঠের ঝুলন্ত সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়তে পারে। গত দুদিন ধরে স্থানীয়রা পানির ¯্রােত উপেক্ষা করে ঝুলন্ত ব্রীজে আটকে যাওয়া আবর্জনা পরিস্কার করে রক্ষা করেছেন মাত্র। তিনি জনদূর্ভোগ লাগবে দ্রুত ব্রীজটি নির্মান করার দাবী জানান।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি কক্সবাজার ) সূত্রে জানা যায়, ব্রীজটি সংস্কারের জন্য পরিমাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। শীঘ্রই সংস্কার করার কথাও রয়েছে।
ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মাষ্টার নুরুল ইসলাম জানান, গেল বন্যায় ঈদগাঁও নদীর প্রবল স্রোতে ফুলেশ্বরী নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ব্রীজটি। তাৎক্ষনিকভাবে উদ্যোগ না নেওয়ায় ব্রীজটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ব্রীজটি অচল থাকায় এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে অভাব-অনটন। আয়-রোজগার না থাকায় ইসলামাবাদের অধিকাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ঈদ করতে পারেনি। সম্প্রতি বন্যার সময় কাঠের ঝুলন্ত সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় বেশ কজন ব্যক্তি আহত হয়েছে।
বাজারের ব্যবসায়ী মৃনাল আচার্য্য জানান, ব্রীজটি নির্মাণের জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এতে স্থানীয় অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা সহযোগিতা করছেন। ঈদগাঁও নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা না গেলে ব্রীজটি আরো ঝুঁকির মুখে পড়বে।
পাঠকের মতামত: