ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ইয়াবা ষ্পটে অভিযান পেকুয়ায় পুলিশ কর্মকর্তা আহত, আটক-১

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

pekua,,পেকুয়ায় ইয়াবা ষ্পটে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় ইয়াবা ব্যবসায়ীর হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে। তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ ইয়াবা ষ্পট থেকে একজন আটক করে। তবে মুল হোতা ও তার স্ত্রীকে ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ। পুলিশকে আঘাত করে স্বামী-স্ত্রী পালিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছেন। ওই ঘটনায় পেকুয়া থানার এসআই বিপুল চন্দ্র রায় বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-০১/১৭। মামলায় ইয়াবা পাচারের অন্যতম শীর্ষ হোতা উপজেলার সদর ইউনিয়নেরর ভোলাইয়াঘোনা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে ও শ্রমিকদল পেকুয়া উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক শাহিদ ইকবাল ও মগকাটা এলাকার শাহজাহনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আরো ২/৩জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন। ১ফেব্রুয়ারী বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভোলাইয়াঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো.জাহিদ। তিনি পেকুয়া থানায় কর্মরত এএসআই বলে জানা গেছে। আটককৃত ব্যক্তির নাম শাহজাহান। তিনি সদর ইউনিয়নের মগকাটা এলাকার বাসিন্দা। পেকুয়া থানার এএসআই মো.জাহিদ আহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পেকুয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। তিনি জানায় ইয়াবা ষ্পটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় ইয়াবাসহ তিনজনকে হাতে নাতে ধরে ফেলি। এদের মধ্যে মুল হোতা শাহিদ ইকবাল ও তার স্ত্রী শাহিদা আকতার হাতে কামড় দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। আমরা চেষ্টা করেছি তাদেরকে আটক করতে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানায় ২৫টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশের এ বক্তব্য সরাসরি প্রত্যাখান করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা জানিয়েছেন ওইদিন রাতে প্রায় ৪/৫হাজার ইয়াবার একটি চালান আসে শাহিদ ইকবালের বাড়িতে। অন্যত্রে বিক্রির জন্য কয়েকজন ক্রেতা তার বাড়িতে অবস্থান করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান দেয়। এ সময় পেকুয়া থানার এসআই বিপুল চন্দ্র রায়, এএসআই মনিতোষ চাকমা, এএসআই জাহেদুল ইসলামসহ বিপুল পরিমান পুলিশ সদস্যরা শাহিদ ইকবালের বাড়িতে ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির নগদ লক্ষাধিক টাকা জব্দ করে। শাহিদ ইকবাল ও তার স্ত্রী অপর একজনকে আটক করে। হঠাৎ মুল হোতা ও তার স্ত্রী পালিয়ে যায়। এ অভিযানটি পুলিশের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ইয়াবা উদ্ধার ও আটকের ঘটনাটি অনেকটা নাটকীয়তায় রুপ নেয় পুলিশের কারনে। পরে জানতে পেরেছি শ্রমিকদল নেতা শাহিদ ইকবাল হঠাৎ মোটাংকের টাকা দিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেছে। আমরা এ ধরনের পুলিশিং ভুমিকায় চরমভাবে হতাশ হয়েছি। স্থানীয়রা জানায় শাহিদ ইকবাল শীর্ষ ইয়াবা বিক্রেতা। তার বাড়িতে সন্ধ্যা নামলে বসে মাদকের হাট। ইতিপুর্বে ইয়াবাসহ একাধিকবার আটক হয়েছে। জেল খেটেছে বহুবার। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তার কারনে মাদকের বিস্তার ঘটেছে পেকুয়ায়। জেল থেকে আসার পর আরো বেপরোয়া হয়েছে ওই ইয়াবা বিক্রেতা। কয়েকমাস আগে তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য তার হাতে শারীরিক লাঞ্চিত হয়েছিলেন।

পাঠকের মতামত: