ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ইসলামপুরে লবণ চাষী উদ্যোক্তা উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

aaaaকক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুরে লবণ চাষী উদ্যোক্তা উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স মঙ্গলবার (৪এপ্রিল)সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় বিসিক কক্সবাজারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ২দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ কোর্সে সভাপতিত্ব করেন গোমাতলী লবণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: দেলোয়ার হোসেন।

বিসিক এসিসি কর্মকর্তা মো: মনজুর আলমের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় বিসিক কক্সবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: আবসার উদ্দিন। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে লবণ শিল্পের অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন, বিসিক ভারপ্রাপ্ত সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রিদওয়ানুর রশিদ, লবণ শিল্পের উন্নয়নে বিসিকের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন, সমন্বয় কর্মকর্তা মো: শামীম আলম, উন্নতমানের সাদা দানাদার ও পরিপক্ষ লবণ উৎপাদন বিষয়ে চাষী উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন। এসময় গোমাতলী-ইসলামপুরের প্রায় অর্ধ শতাধিক লবণ চাষী উদ্যোক্তা প্রশিক্ষনে অংশ নেন।

প্রশিক্ষণে বিসিক ডিজিএম মো: আবসার উদ্দিন বলেন, চলতি বছর যাতে দেশে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন করা যায় এবং বিদেশ হতে লবণ আমদানী করতে না হয় সে লক্ষে ৬৩ হাজার একর জমিতে ১৮ লক্ষ মে:টন পরিশোধিত লবণ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া লবণ শিল্পের উন্নয়ন সম্প্রসারনের জন্য বিসিক মাঠ পর্যায়ে মানসম্মত সাদা লবণ উৎপাদনে লবণ চাষীদের পাশে থেকে লবণ ঋণ, লবণের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কালো লবণ উৎপাদনে লবণ মাঠ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। লবণের সাথে মিশ্রিত কাদা দ্বারা মিল এলাকার নদ নদী ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যা পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। কাজেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিসিক উদ্ভাবিত পলিথিন পদ্ধতিতে সনাতন পদ্ধতির তুলনায় ৪০% বেশি মানসম্মত সাদা দানাদার ও পরিপক্ষ লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের লবণের চাহিদা পুরণ করে লবণ আমদানী বন্ধ এবং কষ্টার্জিত বৈদশিক মুদ্রা বাঁচাতে লবণ চাষী উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রশিক্ষণ কোর্সে অন্যান্যদের মধ্যে খুটাখালী ডুলা ফুলছড়ি লবণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিত বড়–য়া, সহকারী মো: নাছির উদ্দিন, গোমাতলী লবণ কেন্দ্রের সহকারী মো: সিকান্দর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: