মহেশখালী উপজেলার ষাটমারা গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামীলীগ নেতা উজির আলীর নেতৃত্বে একের এক জবরদখল বানিজ্যে দিশেহারা পড়ে পড়েছেন চকরিয়া উপজেলার উপকুলের বদরখালী ইউনিয়নের ভুক্তভোগী জনসাধারণ। দলের পদবীধারি নেতা না হলেও তিনি দাপটের সাথে দলীয় পরিচয়ে চালিয়ে আসছেন নানা ধরণের দখল চেষ্ঠার ঘটনা। তাঁর ধারাবাহিক রাহুগ্রাস থেকে আপন ভাইপো আবদুল হান্নানও রক্ষা পায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে চকরিয়া প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগি লোকজন।
অভিযোগে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পুকপুকুরিয়া গ্রামের জামাল হোছাইনের পুত্র সওকত উচমান সবুজ সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন, মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নস্থ ষাটমারা গ্রামের গুরনমাঝির পুত্র হাজী মোশারফ আলী, আবদুল আলীর পুত্র জলিল বকসুর নিকট থেকে ১৯৪১ সালে ১২৮৯ নম্বর কবলমুলে চকরিয়া উপজেলার উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের মোখলেছুর রহমানের পুত্র সেনায়েত আলী আরএস ২৫০ নং খতিয়ানের আর আস ৩৯৯ দাগের ৩৫শতক, আরএস ৩৯৪ দাগের ৩৩শতক জমি ক্রয় করেন। সওকত উসমান সবুজ আরও দাবী করেন, তাঁর দাদা সেনায়েত আলী ৬টি দাগে মোট ৬.৪০শতক জমি ক্রয় করেন ওই সময়। ধারাবাহিকভাবে খাজনা প্রদানপূর্বক ভোগদখলেও রয়েছেন তারা। কিন্তু বিএস রেকর্ডের সময় ভূলবশত ১.৫৫ শতক জমি ভিন্ন ব্যক্তির নামে বিএস রেকর্ড হলে সংশোধনীর জন্য কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে অপর মামলা নং ৩০৭/২০১২ দায়ের করা হয়। যে বিষয়ে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
কিন্তু অভিযুক্ত উজির আলী দীর্ঘদিনের ভোগদখল, আদালতের বিচার ও থানা পুলিশের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে এসব জমির জবরদখলে নিতে একাধিকবার হামলা চালায় তাঁর অনুগত লোকজন নিয়ে। সওকত উসমান জানান, এ ঘটনায় তিনি সর্বশেষ গত ২২ জানুয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন (নং ৯১৩) রজু করেন।
শাপলাপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মুনতাসির মামুন জানান, উজির আলী আওয়ামীলীগের কোনো পদে না থাকলেও শাসক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে পরের সহায় সম্পদ জবরদখল করে চলছে। এমনকি তার আপন ভাইপো আবদুল হান্নানের বসতভিটাও জবরদখল করে নিয়েছেন তিনি। এছাড়া কিছুদিন আগে ভাড়াটিয়া বাহিনী ব্যবহার করে দখলে নেয় একই এলাকার নুরুল আবছারের জমি। তার জবরদখল তান্ডবে এলাকার লোকজন অতীষ্ট হয়ে পড়েছেন বলেও জানান প্যানেল চেয়ারম্যান মুনতাসির মামুন। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #
পাঠকের মতামত: