ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অসময়ের সামান্য বৃষ্টিতে কাদাজলের ভাগাড় ঈদগাঁও বাজার

mail-google-com

নুরুল আমিন হেলালী, কক্সবাজার :::

বর্ষা মৌসুম বিদায় নিয়েছে প্রায় দুইমাস আগে হালকা শীতও দরজায় কড়া নাড়ছে। কিন্তু অসময়ের সামান্য মৌসুমী বৃষ্টিতে বেহাল ঈদগাঁও বাজার। সদর উপজেলার বৃহত্তম বাণিজ্যিক উপশহরখ্যাত এই বাজারের প্রধান সড়কসহ আভ্যন্তরিন সড়ক -উপসড়কগুলি অসময়ের সামান্য বৃষ্টিতে জলকাদায় একাকার হয়ে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সামান্য বৃষ্টিতে বাজারের প্রতিটি সড়ক যেন কাদাজলের ভাগাড়। কক্সবাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর, কার্যকর ও টেকসই সড়ক সংস্কারে পরিকল্পিত পদক্ষেপ না থাকার কারনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ ঈদগাঁওবাসীর। সরেজমিনে বাজারের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক ও উপসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নেই, সড়কগুলি খানাখন্দকে ভরা, বৃষ্টি নিষ্কাশনের জন্য নামে মাত্র যে’কটি ড্রেন আছে সেগুলিও বর্জ্য- আবর্জনায় ভরে গিয়ে পানি নিষ্কাশনের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে প্রতাপশালী ভুমিখেকো জমিদাররা অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত মার্কেটগুলোর সামনের ফুটপাত দখল করে ঝুলন্ত দোকান করায় ফুটপাতে পথ চলতে বিপাকে পথচারীরা। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষার্থী, সাধারণ ব্যবসায়ী, পথচারী, ভোক্তাসাধারণ থেকে শুরু করে বাজার সংশ্লিষ্ট সব শ্রেণীপেশার মানুষ। জানা গেছে, বাজারের ডিসিরোড়, বাঁশঘাটা রোড়, তরকারী বাজার, মসজিদের পেছন রোড়, হাসপাতাল সড়ক, কালিবাড়ি রোড়সহ প্রতিটি জনগুরুত্বপুর্ণ এলাকার অলিগলিও চলাচলের পথ কাদাজলে টইটুম্বুর । দেখা গেছে, ঈদগাঁও বাসষ্টেশন থেকে নেমে বাজারে ঢুকার পথে ছাগলের বাজার পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার হওয়ার ফলে চলাচলে কিছুটা সুবিধা হলেও কৃষি ব্যাংকের পর থেকে পুরো বাজার অবধি জলকাদার ভেতর দিয়ে পা ফেলে ফেলে ব্যবসায়ী, পথচারী, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ মানুেষর কি নিদারুণ কষ্টের যাতায়াত। বিশেষ করে কৃষি ব্যাংকের সামনে থেকে বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে ঈদগাহ মেডিকেল হাসপাতালের সামনে পর্যন্ত, কালিবাড়ি রোড় থেকে বাঁশঘাটা ব্রীজ পর্যন্ত সড়কের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। এছাড়া আলমাছিয়া রোড় ও বাজারের দক্ষিণ পাশ থেকে বঙ্কিম বাজার পর্যন্ত সড়কে অর্ধশত গর্ত থাকায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকিতে চলছে যানবাহন। মাষ্টার সোলতান আহমদ, মনছুর আলম, স্কুল-কলেজ পড়–য়া শহিদ, নাজমুল, নাহিদা, অনন্যা, ব্যবসায়ী ছৈয়দ করিম, আরিফ উল্লাহ, নাছির উদ্দিনসহ কয়েক চাকুরিজীবি বাজারের সড়কগুলোর দুর্দশা সম্পর্কে বলেন, বাজারের প্রধান সড়কের অবস্থা মগের মুল্লুকের চেয়েও ভয়ানক।

বাজারের প্রতিটি অলিগলির সড়কের উভয় পাশে বেইজ লেভেল ৩-৫ ফুঁট উঁচুতে অপরিকল্পিত ভবন, শপিংমল, দোকানপাট নির্মানের ফলে মুলসড়কটি সামান্য বৃষ্টি হলেই নালায় পরিণত হচ্ছে।

আর টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মওসুম না হলেও অল্প বৃষ্টিতে জলকাদা, জলাবদ্ধতা, নালা-নর্দমার দুর্গন্ধ বাজারবাসীর’র যেন নিত্যসঙ্গী।

পাঠকের মতামত: