ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় কাল বৈশাখীর ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছ-পালা বিদ্যুতের খুটি লন্ডভন্ড ক্ষয়ক্ষতি দশ কোটি টাকা

্র্র্র্র্র্র্র্র্রমিজবাউল হক, চকরিয়া:

হঠাৎ করে কাল বৈশাখীর ঝড়ে চকরিয়ার কয়েকটি ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, গাছ পালা ও বিদ্যুতের খুটি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। অনেক স্থানে শিলা বৃষ্টিও হয়েছে। এতে ধান সহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের কারণে দুই ঘন্টা জনজীবন বিপর্ষস্ত হয়ে পড়ে। অন্তত দশ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।গতকাল ৪ মে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কাল বৈশাখী ঝড় আঘাত হানে ও হালকা শিলা বৃষ্টি, মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা, বরইতলী, হারবাং, বিএমচর ও ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নে দশমিনিটের কাল বৈশাখীর ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। অন্তত চার ইউনিয়নে শতাধিক বাড়ি ঘর ঝড়ো বাতাসের বেগে ভেঙ্গে গেছে। অর্ধশতাধিক দোকান ঘরের ছাল বাতাসের গতিবেগে উঠে গেছে। তাছাড়া ডুলাহাজারা কলেজ গেইটের সামনে বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ পড়ে ৪টি বিদ্যুতের খুটি সম্পূর্ন ভাবে ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে ওই ইউনিয়নে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নে রিংভং এলাকায় তিব্র বাতাসের বেগে ৭-৮টি ঘরবাড়ি পুরোপুরিভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ফাঁশিয়াখালী রেঞ্জ এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশের মাদারট্রি গর্জন ও বিভিন্ন প্রজাতির পাঁচ শতাধিক গাছ ভেঙ্গে গেছে। গাছ গুলো সড়কের উপর পড়ে থাকায় প্রায় দুই ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। ওইসময় যাত্রীদের চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বনবিভাগ ও এলাকার লোকজন পড়ে থাকা গাছ গুলো সড়ক থেকে সরিয়ে ফেলেছে। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। বিএমচর, বরইতলী, হারবাং এলাকায় প্রচুর শিলা বৃষ্টি হয়েছে। ওইসব এলাকায় ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। গতকাল কাল বৈশাখীর ঝড়ে মাঝারি বৃষ্টিপাত ফসলের জন্য উপকার হলেও শিলা বৃষ্টিতে বিভিন্ন গ্রামে পাকতে শুরু করা ধানসহ বিভিন্ন আবাদি সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়। ফলে প্রান্তিক কৃষকদের চোখে, মুখে আতঙ্কের চাপ দেখা যাচ্ছে। কয়েকটি ইউনিয়নে ধান কর্তন শুরু হলেও এখনও পুরো দমে ধান কর্তন করেনি কৃষকরা। ফলে মাঠের ধান ক্ষেত গুলোর ধান ঝড়ে নুয়ে পড়লেও শিলা বৃষ্টিতে ধান আংশিক গাছ থেকে পড়ে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা হয়নি। বাতাস ও শিলা বৃষ্টিতে গঅন্তত দশ কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলা পরিষদ ও প্রশসানের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করেনি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা এখনো আসেননি বলে জানান। ##

পাঠকের মতামত: