ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে ডব্লিউএফপি

প্রেসবিজ্ঞপ্তি ::
গত সোমবার (২২ মার্চ) কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আগুন লাগার পর হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ও তার অংশীদার সংস্থাগুলো ৬০ হাজার বাস্তুচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাকে হট মিল বা খিচুড়ি বিতরণ করছে। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা পরিবার ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে ডব্লিউএফপি-এর পক্ষ থেকে ১৫ হাজার কার্টন উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট (হাই এনার্জি বিস্কুট) বিতরণ করা হয়েছে।

পুরো ক্যাম্পজুড়ে ডব্লিউএফপি’র খাদ্য সহায়তা কেন্দ্র, খাদ্যের মজুত ও বাংলাদেশী খুচরা বিক্রেতা ও কক্সবাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে নিবিড় অংশীদারিত্ব থাকার কারণে আগামী দিনগুলোতে ডব্লিউএফপি’র দ্রুত খাদ্য সহায়তা সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের চাহিদা মেটাবে।

কক্সবাজারে ডব্লিউএফপি’র সিনিয়র ইমার্জেন্সি কোঅর্ডিনেটর শিলা গ্রুডেম বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ধ্বংস দেখে ডব্লিউএফপি ভীষণ মর্মাহত।” তিনি আরও বলেন, “এই চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বিশাল অংশজুড়ে এই দেশের খুচরা ব্যবসায়ী, স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্ট এবং আমাদের বিশেষতঃ মানবিক সহায়তা দানকারী অংশীদার সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় ডব্লিউএফপি’র পক্ষ থেকে দ্রুততর সময়ে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তাদের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা পরিবারগুলো আজ রাতে গরম গরম খাবার খেতে পারবে।”

বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও মানবিক সহায়তা দানকারী অংশীদারদের মধ্যে যারা প্রথমেই মানবিক সাড়াদান করেছে, সেই দলেরই এক অংশ ডব্লিউএফপি। আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর থেকেই তাৎক্ষণিক সাড়াদান হিসেবে ডব্লিউএফপি’র ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিল্ড অপারেশন ও জেনারেল ফুড এসিস্টেন্স দল কর্মরত আছে। এ ছাড়াও, আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা ও সাইট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাগুলোকে সহায়তা করার জন্য ডব্লিউএফপি’র পক্ষ থেকে ওয়াটার ট্যাংকসহ হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে ও সেইসাথে সাইট মেনটেইনেন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্ট দলের স্বেচ্ছাসেবকদের নিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা গেছে, কমপক্ষে ১০ হাজার বাসস্থান ধ্বংস হয়ে গেছে। ডব্লিউএফপি’র দুটো নিউট্রিশন সেন্টার, একটি জেনারেল ফুড ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট ও দুটো ফ্রেশ ফুড কর্নার পুরোপুরি পুড়ে গেছে। নিয়োজিত দলগুলো ডব্লিউএফপি’র অন্য দুটো নিউট্রিশন কেন্দ্র ও একটি ই-ভাউচার আউটলেটের ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করা পর্যন্ত সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: