ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কুতুবদিয়ায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি ::
তীব্র পানির কষ্টে দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছেন দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার হাজার হাজার মানুষ।
সেখানে কোথাও কোথাও চলতি মাসেও টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যায়নি। আবার কোন কোন জায়গায় মিলছে ময়লা, লবণাক্ত ও দুর্গন্ধে ভরা পানি।

যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা বাড়তি টাকা খরচ করে বড়ঘোপ মেডিকেল গেইট থেকে গাড়ি করে পানি কিনে এনে চাহিদা মেটাচ্ছেন। তবে, সাধারণ মানুষকে বেশ ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

লেমশীখালী, কৈয়ারবিল, উত্তর ধূরুং এলাকায় রয়েছে সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান এবং উচ্চ ও মধ্যবিত্তের বসবাস। কিন্তু এমন এলাকাতেই পানির জন্য চলছে হাহাকার। গৃহস্থালীর কাজ ও সুপেয় পানি জোগাড় করতে প্রতিদিনই বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

দ্বীপের উত্তর জোনের চিত্র এটি। প্রয়োজন মেটাতে এভাবেই লাইনে দাঁড়িয়ে লেমশীখালীর আল ফারুক দাখিল মাদ্রাসার টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করছেন এলাকাবাসী। টিউবওয়েলে পানি না থাকায় প্রতিদিনই এমন কস্ট পোহাতে হয় তাদের। মাঝে মাঝে পানি পাওয়া গেলেও তা দুর্গন্ধ, লবণাক্ত আর ময়লায় ভরা থাকে বলে জানালেন স্থানীয়রা।

শুধু লেমশীখালী, কৈয়ারবিল আর উত্তর ধূরুং নয়, পানির এমন সংকট এখন দ্বীপের অনেক জায়গায়। লেমশীখালীর শাহাজির পাড়ায় পানির অভাবে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।

আবার ভিন্ন চিত্রও দেখা গেল একই উপজেলা বড়ঘোপ সদরে। ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম শহিদ উদ্দীন ছোটনের উদ্যোগে বড়ঘোপ ইউনিয়নের আজম কলোনী বিগত বছর বিদ্যুৎ মার্কেট গোলদারপাড়া এলাকায় বড় আকারের গভীর টিউবওয়েল স্থাপন করে ঐ জায়গায় ব্যাপক আকারের পানির ট্যাংক তৈরী পূর্বক পাইপ লাইন করে গোলদারপাড়া, নয়াপাড়া, সাইটপাড়া, উত্তর আজম কলোনী,দক্ষিণ আজম কলোনী,কাজির ঘোনা এলাকায় ১০টি জনগুরুতপূর্ণ এলাকায় পানির কল দিয়ে খাওয়ার পানি সরবরাহ করে আসছে।

আজমকলোনীর বাসিন্দারা জানান, প্রতি কলসি পানি ১০টাকা করে কিনে খাওয়া হতো। স্থানীয় চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বর্তমানে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের ব্যবস্থা করায় তাদের এ খরচটা আর হচ্ছে না। এমনও সময় গেছে লোকের অভাবে পানি আনতে না পেরে পুকুরের পানিও খেতে হয়েছে।

পানির এমন সংকট থেকে রেহাই দিতে শুধু আশ্বাস নয় আজম কলোনীর মতো টিউবেওয়েল বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ দেখতে চাইছেন দুর্ভোগের শিকার হওয়া দ্বীপের বাসিন্দারা।

Share

পাঠকের মতামত: