ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কোন কর্মকাণ্ড চলবে না : অধ্যক্ষ

চমেকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রদের সকল ধরণের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত আপাতত কলেজের মধ্যে সকল ধরণের মিছিল মিটিং ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে গতকাল দুপুরে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদিকে, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষার্থী ব্যাতিত অন্য শিক্ষার্থীদের ছাত্রবাসে থাকাও আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জানা যায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাতে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার, হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকের শুরুতেই মঙ্গলবার ছাত্রাবাসে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে আলোচনা হয়। তাতে করোনা মহামারীতে এবং কলেজ বন্ধ থাকায় আপাতত ছাত্রদের সকল ধরণের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে কলেজের পাঠদান কার্যক্রম চালু এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোন ধরণের মিটিং মিছিলও করা যাবে না বলে মতামত আসে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সাহেনা আক্তার পূর্বকোণকে বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারীর কারণে যেহেতু কলেজ বন্ধ। তাই একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এবং কলেজ না খোলা পর্যন্ত মিছিল মিটিংসহ সকল রাজনৈতিক কর্মকা- আপাতত নিষিদ্ধ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এসব কর্মকা- চলবে না।’

মঙ্গলবারের ছাত্রলীগের দু’পক্ষের ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থী ছাড়া আসলে হোস্টেলে আর কারোরই থাকার নিয়ম নেই। তাই কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থিত সবার সর্বসম্মতিক্রমে পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউই আর হোস্টেলে থাকতে পারবে না। আর ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।’

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১২টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় লিপ্ত হওয়া দু’গ্রুপের একটি অংশ শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও অপরটি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

পাঠকের মতামত: