ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ড্রেজারসহ ৮টি মেশিন গুড়িয়ে ধ্বংস

মাতামুহুরী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান  

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া ::  কক্সবাজারের চকরিয়ায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ ভাবে মাতামুহুরী নদী থেকে ড্রেজার ও সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে নদীতে ভাসমান বড় বেইজ এর উপর স্থাপিত ৩টি ড্রেজার মেশিন ও ৫টি সেলোমেশিনসহ মোট ৮টি মেশিন ও পাইপ গুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

বুধবার (৩মার্চ) দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন বালু পয়েন্টে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তানভীর হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে বাটাখালী ব্রীজের খোন্দকার পাড়া থেকে রামপুর পরিষদ সংলগ্ন রেল ব্রীজ পর্যন্ত মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নদীতে ভাসমান বড় বেইজের ড্রেজার মেশিন ও সেলোমেশিন মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল কতিপয় অসাধু বালু ব্যবসায়ী। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে বুধবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের টীম অভিযান চালায়। অভিযানের সময় ভ্রাম্যমান আদালত মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট বালি উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত নদীতে ভাসমান বড় বেইজ এর উপর স্থাপিত তিনটি ড্রেজার ও পাঁচটি সেলোমেশিনসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দ করে গুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন,চিরিংগা ভুমি অফিসের তহসিলদার সলিম উল্লাহ,থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মাঈন উদ্দিন,ভুমি অফিসের অফিস সহকারী ও ভ্রাম্যমান আদালতের পেশকার দীপক বডুয়া, ভুমি অফিসের স্টাফ ফয়সাল ও আরিফসহ থানার পুলিশ ফোর্স বিভিন্ন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)মো. তানভীর হোসেন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাতামুহুরীর নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি অনুমোদন ব্যতিত আইন লঙ্ঘন করে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে থেকে ভাসমান ড্রেজার ও সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এ অবস্থার কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এনিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকদফা অভিযানও চালানো হয়। এছাড়াও বালি উত্তোলনকারীদের প্রশাসন থেকে তাগাদা দিয়ে জানানো হয়েছিল। এরপরও প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে ড্রেজার ও সেলোমেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না হাওয়ায় বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, অভিযানের সময় বালু পয়েন্ট থেকে ভাসমান বড় বেইজের তিনটি ড্রেজার মেশিনসহ মোট ৮টি মেশিন ও পাইপ জব্দ করে গুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়।
অবৈধ বালি উত্তোলনকারী বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: