ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কুতুবদিয়ায় বাঁধাকপির বাম্পার ফলন

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি :: কুতুবদিয়ায় প্রভাতী জাতের বাঁধাকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন আর ন্যায্য দামে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় চাষীরা।

চলতি বছর কুতুবদিয়ায় আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ১২জন, বড়ঘোপ ইউনিয়নে ২/৩ এবং দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের ২জন চাষীরা ২/৩ খানি জমিতে প্রভাতী জাতের বাধাঁকপির আবাদ হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। গত বছরের তুলনায় এবছর অনেক ভালো ফলন হয়েছে।

উপজেলা আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের নাছিয়ার পাড়ার গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন দৈনিক রূপসীগ্রামকে জানান, ৩ গন্ডা জমিতে তিনি প্রভাতী জাতের বাঁধাকপি চাষ করেছেন। এতে প্রায় ৮শ চারা রোপণ করেছি। জমি তৈরী, সেচ, সার, বীজ, কীটনাশকসহ যাবতীয় তার খরচ হয়েছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। বর্তমানে তিনি ১৪ থেকে ২০ টাকা পাইকারি দরে বাঁধাকপি বিক্রি করছেন।

পার্শ্ববর্তী গ্রামের কৃষক আবু ছৈয়দ, দুলাল শীল, মফিজ আলম, জাকের, ছৈয়দ, ফোরকান ও মন্জুর আলমসহ এলাকার প্রভাবী জাতের বাঁধাকপি চাষীরা জানান, চলতি বছরে প্রভাতী জাতের বাঁধাকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। তারা ১ খানি প্রভাতী জাতের বাঁধাকপি চাষে খরচ করেছেন ২০ হাজার টাকা। এতে চারা রোপণ করেছেন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। ইতোমধ্যে দুই হাজার প্রভাতী জাতের বাঁধাকপির বিক্রি করে প্রায় ২৮ হাজার টাকা পেয়েছেন। তবে এই মৌসুমে আরও ৫০ হাজার টাকার বাঁধাকপি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন সেলিম চকরিয়া নিউজকে জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা বাঁধাকপি প্রভাতী চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে বাজারে এর ভালো ফলন থাকায় তারা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন।

এব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ভারপ্রাপ্ত) উপ-পরিচালক আতিক উল্লাহ চকরিয়া নিউজকে জানান, এ বছর কোনও প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় চাষীরা প্রভাতী জাতের বাধাঁকপির বাম্পার ফলন পেয়েছেন। পপ্রতি গন্ডায় ২৬০টি ফলন পেয়েছেন। বাজার দর ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন।

পাঠকের মতামত: