ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলার ‘হুমকি’ ডা. শাহাদাতের

নিজস্ব প্রতিবেদক ::  ইভিএমে ভোটের সংখ্যার প্রিন্টেড কপি না দেওয়া, ঘণ্টায় ঘণ্টায় ভোটের হিসেব না দেওয়া এবং বিএনপির ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভোট কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলটির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

আজ রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর একটায় নাসিমন ভবন নগর বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি চসিক নির্বাচনের নানান অনিয়ম তুলে ধরে এসব কথা জানান।

ভোটের দিন প্রায় সকল কেন্দ্রেই বিএনপির এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি দাবি করে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘ভোটের দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৬০টি কেন্দ্রে ঘুরেছি। সব কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি কাউন্সিলর প্রার্থীদের কেন্দ্রে আসতে দেয়নি। নির্বাচনের আগে থেকে তাদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেয় পুলিশ।’

ফলাফল জানানোর ক্ষেত্রেও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা সততার পরিচয় দিতে পারেননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইভিএম ভোটের প্রিন্টেট কপি চেয়েছিলাম আমরা কিন্তু তারা আমাদের সেটি দিতে পারেনি। ঘণ্টায় ঘণ্টায় ভোটের হিসেব চেয়েছিলাম, সেটিও তারা দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘চসিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই যে এই নির্বাচনে ধানের শীষের বিপরীতে নৌকার প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮, আর ধানের শীষের ভোট ৫২ হাজার ৪৮৯টি। তিন লাখ ১৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে মেয়র ঘোষণা করা হয়েছে। রাত পৌনে ২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেল, এই নির্বাচনে মাত্র সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। যেটা বাস্তবিক অর্থে ছিল ৭.৫%।’

এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রদত্ত ভোটের মধ্যেও জালিয়াতি করে বিএনপির ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভোট জালিয়াতি করে কেড়ে নেয়ার অভিযোগও তুলেন ডা. শাহাদাত হোসেন।

সুনির্দিষ্ট এই তিন অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামিম, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: