ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চোরাই টমটম পাচার চক্রের সদস্য আটক চকরিয়ায় 

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া :: কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিনিয়ত ব্যটারী চালিত ইজিবাইক টমটম চুরির খবর পাওয়া যাচ্ছে। গুটি কয়েকটি উদ্ধার হলেও বাকিগুলোর হদিস মিলছে না। চট্টগ্রাম আর কক্সবাজার শহরে চুরি টমটম আনা-নেয়া করছে এমন একটি চক্রের সদস্যকে আটক করেন চকরিয়া থানার পুলিশ।

জনতার হাতে আটক করে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। চোরাই টমটম কেনার নামে চট্টগ্রাম শহর থেকে কৌশলে এনে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। রবিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রংমহল নামক এলাকা থেকে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যান।

পুলিশ ঠিকানা জিজ্ঞেসবাদে সে কোন প্রকার পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। তবে তার নাম মোঃ ফারুক (৩৮) বলে দাবী করেন। তার দেয়া তথ্যমতে, সে ঝালকাঠি রাজাপূর উপজেলাধীন কানুদাশ কাঠি এলাকার মৃত আবদুল কাদের হাওলাদারের ছেলে। তবে সে পঁনের বছর ধরে চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন এলাকায় বসবাস করছে বলেও জানিয়েছেন।

এদিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের দক্ষিণ রংমহল এলাকার শামসুল আলমের ছেলে মোঃ নোমান (২৬) চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করছে। সেখানে সে অটোরিক্সা চালিয়ে দিন যাপন করলেও জড়িয়ে পড়ে চুরিচামারি কাজে। পরিচয় থেকে সুসম্পর্ক হয় আটক এই ফারুকের সাথে। ফারুকের স্বীকারোক্তি মতে তারা দুজনে কক্সবাজারে এর আগেও আসছিল। ফারুক আর নোমান চকরিয়ার মালুমঘাট বাজারের একটি বোর্ডিংএ থাকতো। অবশ্য বোর্ডিং মালিকও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তাদের নাম-ঠিকানা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করেনি বলে জানান ওই হোটেল ম্যানেজার।

সর্বশেষ গত কিছুদিন আগে ডুলাহাজারা রংমহল এলাকার সঞ্জিদ দে নামের এক যুবক শহরের বাস করা রংমহলের নোমান থেকে একটি চোরাই টমটম কিনে। একই এলাকার যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন তাজুয়ার চোরাই টমটম সনাক্ত করেন। পরে মালিক খুঁজে যার টমটম তাকে বুঁজিয়ে দেন। কিন্তু যুবলীগ নেতা জয়নাল চোরাই টমটম ক্রেতা সঞ্জয়কে শর্ত দেন যদি শাস্তি থেকে বাঁচতে চায় তাহলে নোমানসহ এ সিন্ডিকেটটি ধরিয়ে দিতে হবে।

বিষয়টি গোপন রেখে ওইদিন চোরাই সিন্ডিকেটের সাথে সঞ্জয় আরেকটি টমটম আনার বিষয়ে দিনক্ষণ পাকাপোক্ত করেন। সিন্ডিকেটের সদস্য ফারুক ও নোমান ৩ হাজার টাকা দিয়ে মিনি ট্রাক ভাড়া করে এটি চট্টগ্রাম শহর থেকে ডুলাহাজারা আনছিল। এদিকে সঞ্চয়ের দেয়া তথ্যমতে জয়নাল তাজুয়ার এলাকার লোকজন নিয়ে পূর্বনির্ধারিত পয়েন্টে উৎপেতে থাকেন। পরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক এলাকায় ক্রেতা-বিক্রেতার সাক্ষাৎকালে ধাওয়া করে টমটমসহ মোঃ ফারুককে আটক করেন।

এসময় রংমহল এলাকার বাসিন্দা শহরে কর্মরত চোরাই টমটম পাচার সিন্ডিকেটের সদস্য নোমান পালিয়ে গেছে। এদিন রাতে খবর দেয়া হলে থানা পুলিশ রংমহল এলাকায় এসে স্থানীয় জসিম উদ্দিন মেম্বারের উপস্থিতিতে টমটম’সহ মোঃ ফারুককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ গোলাম সারুয়ার শিপন চকরিয়া নিউজকে বলেন, চোরাই টমটম সহ চোর সিন্ডিকেটের ফারুক নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তার সহকর্মী ডুলাহাজারা ইউনিয়নের নোমানকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ সিন্ডিকেটে আর কারা কারা জড়িত আছে তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: