ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

লামায় বিছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ শেষ, চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ৩০

pic 23.04.16মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

বান্দরবানের লামায় বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, জাল ভোট প্রদান, ক্ষমতাসীনদের আধিপাত্যের মধ্যে দিয়ে তৃতীয় দফা ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। চলছে ভোট গণনা। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। লামা উপজেলার আজিজনগর, ফাইতং, ফাঁসিয়াখালী ও লামা সদর ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সময় আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০জন আহত হওয়ায় খবর পাওয়া গেছে।

লামা উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয় ১নং গজালিয়া ইউনিয়ন, ৫নং সরই ও ৬নং রুপসীপাড়া ইউনিয়নে।

২নং লামা সদর ইউনিয়নে ২নং কেন্দ্র মেরাখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেম্বার প্রার্থী মোঃ হারুণ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়ে মারলে প্রতিবাদে পুলিশের গুলিতে ইব্রাহীম নামে এব যুবক আহত হয়। ৩নং কেন্দ্র মেরাখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪নং কেন্দ্র শুক্কুর পাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও ৫নং কেন্দ্র মেউলারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে সারাদিন কোন প্রকার সংঘর্ষ ছাড়া ভোট গ্রহল হলেও বিকাল ৪টার পর ৭নং কেন্দ্র ফাঁসিয়াখালী ১নং রিপুজীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যালেট বক্স ২য় তলায় নেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ লাগে। এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতা বিদ্যালয়ে দরজা ও জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ফেলে। ১নং রামথুইপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট ছিঁড়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়।

৪নং আজিজনগর ইউনিয়নে ৩নং কেন্দ্র চাম্বি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২নং চাম্বি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিপাহী আব্দু রাজ্জাক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্বচাম্বি মুসলিমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জালভোট প্রদান ও বহিরাগতদের আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। চাম্বি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষে ১০-১৫ জন আহত হয়। এসময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাষ্টার নুরুচ্ছফাও আহত হন। পূর্ব চাম্বিতে পুলিশের আঘাতে ১জন গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

৭নং ফাইতং ইউনিয়নে ৪নং কেন্দ্র ধুইল্যাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেদার বাঁধ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, এবারের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৯জন, সাধারন সদস্য পদে ২২৮জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছে। ৭টি ইউনিয়নে সর্বমোট ৫১ হাজার ৭৪২জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২৫ হাজার ৪৯৯জন এবং পুরুষ ভোটার ২৫হাজার ৯২৫জন। নির্বাচন সম্পন্ন করতে ৭টি ইউনিয়নে পৃথক ৩জন রিটার্নিং অফিসার, ৬৪জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১৭৩জন সহকারি প্রিজাইডিং এবং ৩৪৬ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্র ও সার্বিক আইনশৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে¡ থাকবে ৪জন ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ, আনসার ও বিজিবি।

পাঠকের মতামত: